গত পর্ব শেষ করেছিলাম এই দিয়ে যে যে কারণে ক্যান্সার হয় তার মধ্যে দুটি কারণ উল্লেখ করে। আজ আরো কিছু কারণ এবং ক্যান্সারের কিছু লক্ষন নিয়ে আলোচনা করবোঃ
পরিবেশ এবং পেশাগত কারণ:
রাসায়নিক পদার্থের সাথে ক্যান্সারের অনেক বড় একটা সম্পর্ক রয়েছে। যেমন, মেসোথেলিওমিয়া-এক ধরনের দূর্লভ ক্যান্সার, এতে ফুসফুসের চারপাশ এবং পেটের দিকের কোষগুলো আক্রা্ফন্ত হয়। এই ক্যান্সারের ফলে শ্বাস প্রশ্বাসে কষ্ট হয়, কারণ এর ফলে ফুসফুসের চারপাশে পানি চলে আসে, তলপেট ফোলে যায়, বুকের চারপাশে ব্যাথা করে।ওজন কমে যায়, তবে এই উপসর্গগুলো খুব ধীরে ধীরে দেখা দেয়। আক্রান্তদের ১০ জনের মধ্যে ৯ জনই এসবেস্টস ধাতুর সংস্পর্শে আসার কারণে এই ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন। সাধারণত জাহাজ তৈরির শিল্পের সাথে যারা জড়িত তাদের এই ধাতুর সংস্পর্শে আসার সম্ভাবনাটা বেশি থাকে। এই কারণেই অনেক দেশে এই ধাতুর ব্যবহার নিষিদ্ধ। একইভাবে রঙের কারখানা, রাবার বা গ্যাসের কাজে যারা নিয়োজিত তারা এক ধরনের বিশেষ রাসায়নিক পদার্থের সংস্পর্শে আসার কারণে মূত্রথলির ক্যান্সার আক্রান্ত হন। পরবর্তীতে অনেক দেশে এসব রাসায়নিক পদার্থের ব্যবহারও নিষিদ্ধ করে দেয়া হয়েছে। পরিবেশগত কারণের অন্যতম একটা হচ্ছে সূর্য। রোদে বেশিক্ষণ থাকার কারণে ত্বকের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তেজস্ক্রিয়তার (radioactivity) কারণেও বিভিন্ন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
তাই আমাদের দেশেও এমন ধাতুর ব্যাবহার বন্ধ করা হলে হয়ত এমন মরনব্যাধির হাত থেকে অনেকেই রক্ষা পেতে পারতেন।
ক্যান্সারের সাধারণ লক্ষণঃ মানবদেহে যে সকল স্থানে ক্যান্সার ধরা পড়েছে তা হল প্রস্টেট গ্রন্থি (মূত্রথলীর, স্তন, জরায়ু, অগ্ন্যাশয় (Pancreas), রক্তের ক্যান্সার (Blood Cancer), চামড়ায় ক্যান্সার (Skin Cancer) ইত্যাদি। একেক ক্যান্সারের জন্য একেক ধরনের লক্ষণ বা উপসর্গ থাকে। লক্ষণগুলো নিয়ে আসছে আগামী পর্ব।
রওশন চৌধুরী – সহ সম্পাদক চেতনা বিডি ডটকম।