খাদ্যাভ্যাসঃ গত পর্বের শেষ কথায় ছিল শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ক্ষতির সাথে ক্যান্সার জড়িত থাকে। এই ক্ষতির প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরির পথ্যের পাঁচটি মূলনীতি আলোচনা। আজকে জেনে নেবো সুস্থ কিংবা এই রোগে আক্রান্ত ব্যাক্তি ও রোগ থেকে বেঁচে যাওয়া ব্যাক্তিদের গ্রহনযোগ্য খাদ্য এবং বর্জনকৃত খাদ্যের তালিকা কি কি হতে পারেঃ
প্রথমত, ফলের রসঃ প্রচুর পরিমানে কমলা, অ্যাপেল, আঙ্গুর, কলা, এবং গাজর ইত্যাদি রস খেলে এই রসের এঞ্জাইমারগুলো রক্তের সাথে মিশে গিয়ে সরাসরি প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হয়। সবুজ শাক সবজি ও ফলের রস ক্যান্সার রোগীদের ক্ষতিগ্রস্থ বিপাক ক্রিয়া পূনোরুদ্ধার করে। গ্যারিসন সবুজ রসের উপাদান হিসেবে লেটুস, বাঁধাকপি, সইচ চার্ড, বীটের পাতা, সবুজ ক্যাপসিকাম ইত্যাদি ব্যবহার করেছেন। তিনি যবের রস খেতেও বলেন।
দুধ, দই, ডিম, মাংসঃ
দুধের সর উঠিয়ে রেখে দুধ পান করুন, প্রতিদিন খাবারের সাথে একটু দই খেলে ভাল, ডিমে এলার্জি না থাকলে সপ্তায় ৩ টি ডিম খাবার অভ্যাস করুন। চরা মুরগীর ডিম খুবই উপকারি। মাংসকে যতটুকু পারেন এড়িয়ে যান। না খাওয়াই ভাল। যতদূর সম্ভব তেল চর্বির রান্না এড়িয়ে চলুন। ভাল করে সেদ্ধ করে খান। মাছ যতদূর সম্ভব না খাওয়াই ভাল। তবে সপ্তাহে দু একদিন খেতে পারেন। সামুদ্রিক মাছ এবং ছোট মাছ খাওয়াই ভাল। কারণ ওগুলোতে দূষিত পদার্থের পরিমান কম থাকে। ছিংড়ি মাছ এড়িয়ে চলুন।
লেবুর রসে পানি মিশিয়ে অন্তত ২০০ মিঃলিঃ দিনে ৬-৭ বার পান করুন।
যে কোন ধরনের পুদিনা পাতার রস ঠান্ডা অবস্থায় পান করুন, খুব উপকারী। রসুন, আদা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়া মৌরি, তেজ পাতা, বিভিন্ন ধরনের বীজ যেমনঃ মটর, ডাল জাতীয় খাবার, সীমের বিচি, বরবটি, মটরশুটি, এগুলো কাঁচা এবং রান্না করেও খেতে পারেন। সবধরনের বীজ খাওয়া অত্যন্ত উপকারী। মশুরের ডাল ভিজিয়ে পানি ফেলে নতুন পানিতে রান্না করে খাওয়া ভালো। ব্রাজিল নাট, হেযেল নাট, কাঠ বাদাম, আখরোট, সূর্যমুখীর বীজ, পাইন নাট, পেস্তা বাদাম, তিল গমের অংকুর, লেসিথিন, সোয়াবিন, চিনা বাদাম, পনীর, অ্যাভোকাডো, কলা, আতা, পার্সিমন সবধরনের শুকনো ফল, জাম জাতীয় ফল,নাশপাতি, চেরিফল, নারিকেল, জলপাই, পিচফল, প্লাম, পেপেঁ, আম, পেয়ারা, বাতাবী লেবু, কাগজী লেবু, পাতিলেবু, স্টোবেরী, কিউই ফল এসবের যতগুলো যোগাড় করতে পারবেন তা দিয়ে আপনার খাদ্য তালিকা তৈরি করুন। নিম পাতার রস খান, টিন জাতীয় খাদ্যকে সম্পুর্ণ পরিহার করুন। লবন, চিনি, মেদ এবং আমিষ জাতীয় খাবার খাওয়া কমিয়ে ফেলুন, চিনিকে একেবারে খাদ্য তালিকা থেকে মুছে ফেলুন। নিজেকে সব সময় সতেজ ও চলমান রাখুন। যোগ্য ডাক্তারের পরামর্শকে অনুসরণ করুন। নিয়মিত ব্যায়াম করুন। নিজেকে সুস্থ রাখতে নিজেই সচেতন হোন। মহান আল্লাহকে সব সময় স্মরণে রাখুন। নিজ নিজ ধর্ম পালন করুন।
রওশন চৌধুরী – সহ সম্পাদক চেতনা বিডি ডটকম