কোনো কোনো নির্ঘুম রাতে
নিজেকে বড় একা মনে হয়,
মৌন আঁধার রাতের কান্নায়
নিঃসঙ্গতার নোনা জল মিশে রয়।
নতমুখী তনু মন জুড়ে
এক অদ্ভুত আঁধার আসে
জীবনের স্বরলিপি গুমরে কাঁদে
দীর্ঘশ্বাসের মরচে পড়া খামে।
কুয়াশাচ্ছন্ন পাথর কালো রাতের নৈঃশব্দের চাদর সরাতে
যুবতী চাঁদের গায়ে জোছনার কলঙ্ক নামে
রাতজাগা উদাসী নাগরিক পেঁচার ডাকে
পেজা তুলো মেঘের মতো ক্রমশ ধুসর স্মৃতি
নিরাশার নিওরণে দহন অনল জ্বালে।
কোনো কোনো অদ্ভুত আঁধার রাতে…
জোছনাহত ঝিঁঝিপোকাদের সম্মিলিত চিৎকারে
শীতার্ত শরীর ডুবে যায়; বৈরাগ্যের বিবশ শূণ্যতায়,
বাবুই পাখির ঠোঁটে স্বপ্নবোনা দিন
লাজুক কড়া নাড়ে বিস্মৃতির জানালায়,
বিস্মৃতপ্রায় প্রিয় মুখের স্বল্পায়ু ফুল
ভীড় করে হৃদয়ের আঙ্গিনায়।
অনাঘ্রাত যৌবন মাথা কুটে
নোনা জলের দ্রাঘিমায়; জীবনের আয়নায়!
কোনো কোনো নিঃসঙ্গ বিবাগী রাতে…
প্রলম্বিত প্রহরগুলো গারদ মনে হয়,
তৃষিত বুকে বয়ে যায়; মরু সাহারার ভীষণ ঝড়,
আকন্ঠ চুমুকে শেষ হয়; শিথানের পাশের কলসের জল ,
তবু থেকে যায় বুকের ভেতর; আজন্মের এক তৃষ্ণা অটল।
জন্মান্তরের তৃষ্ণা এই বুকের ভিটায়,
এমন কী কোনো জল আছে
তেষ্টা যাতে সহজে মিটায়!
একাকীত্বের অদ্ভুত আঁধার মাঝে
তক্ষকের লকলকে জিভে ঝুলে থাকে; ঈশ্বরের দিনলিপি…
তবুও জীবন!
স্বপ্ন দেখার ছলে; আলোকের আল্পনায় লিখে চলে
অনন্ত এক আঁধারের পাণ্ডুলিপি!
মনিরুল ইসলাম চঞ্চল- কবিও গবেষক।