স্তুপিকৃত বরফের পাশে সন্তর্পণে পা ফেলছিলাম।
শশ্রুমন্ডিত এক অপূর্ব মুখ কাছাকাছি হতেই দাঁড়িয়ে পড়ি।
এক আকাশ স্নিগ্ধতামাখা চোখ তুলে,
অমৃতবচনে সুধায়, থামলে কেন মেয়ে!
আমি বলি, আমাদের গন্তব্য একই দিকে;
ভাবলাম, তোমার অভিজ্ঞ পদাঙ্ক অনুসরণ করি।
স্মিত হাসেন তিনি।
চিকচিক করে উঠে তার শান্ত নয়ন তারা।
জানতে চাই, কোথায় থাকো তুমি!?
উত্তর না দিয়ে আমার দিকেই প্রশ্নবোধক দৃষ্টি।
হাত দিয়ে নির্দেশ করি,,,,
ঐখানে থাকি আমি; আর তুমি!?
এখানে, ঘুরে যায় তার অক্ষিগোলক, ঘাড়, মাথা;
বুঝা যায় না কিছুই!
আবার সুধাই, কোথা থেকে এসেছো?
যেখানে চলে যাব।
কোথায় যাবে তুমি?
যেখানে সবাই যায়।
স্থির চোখে তাকাই এবার…..
মোটা দস্তানা পরা হাত ঠেঁকে আমার কাঁধে,
তিন স্তরের শীতবস্ত্র ভেদ করে সে স্পর্শ
হৃদয়ের একূল-ওকূল ছুঁয়ে যায় নিমেষে।
সৌম্যজ্যোতি কন্ঠে ছড়িয়ে তিনি বলে চলেন,
চমকালে কেন মেয়ে!
এখানে আমরা সবাই আগন্তুক,
কেউ একটু বেশি সময়ের, কেউ একটু কম!
কুলসুম আক্তার সুমী – কবি ও সাহিত্যিক।