আমি এক ডিভোর্সি!
অত্যাচার আর নির্যাতন নামক কাঁটার আঘাতে আঘাতে ক্ষত-বিক্ষত আমি।
কোনএক সময় প্রতি মুহুর্তে ছিল শিয়রে মৃত্যুর হাত ছানি,
সেই নির্মম অত্যাচার আজও আমার অন্তরে তোলে বুকফাটা ধ্বনি ,
প্রতিরোধ করার ক্ষমতা আমার ছিল না,
কুঁড়ি থেকে ফুল হয়ে ফোটার আগেই
মৃত্যু মুখে ফেলে দেয়া হয়।
তার ভয়ার্ত মুর্তি আর লাঠির আঘাতে প্রতিবাদ করার ক্ষমতা হারাই।
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় হেরে গেছি বারে বার।
তাই কারো হতে চাই না আমি আর।
হারিয়ে ফেলেছি নিজ হাতে গড়া সংসার চিরদিন চিরতরে,
কত স্বাধ ছিল!
তাঁর সঙ্গে থাকবো
থাকবো সারা জীবন ধরে।
কত আশা ছিল একমাত্র কন্যাসন্তান কে লালন পালন করবো আদর করে।
কি ই বা পেলাম জীবনে!
শুধু এক রাশ কালো রঙের মেঘে ঢেকে দিল মনের আকাশ,,,,,
ঘুটঘুটে অন্ধকারে ভরে গেল মনের আঙিনা।
প্রবল জোরে বজ্রপাতের মত আর্তনাদ হেনেছে অন্তরাকাশে।
বোবা কান্নায় ভেসেছে নীরব অশ্রুপাত ।
অকাল মৃত্যু হলো হাসি খুশি আনন্দের অনুভূতি গুলোর।
নেই কোন আর অভিযোগ,,অভিনয়,
নেই কোন আশা
সুনামির জলচ্ছাসে ভাসিয়ে নিয়ে গেছে
অবুঝ মনের অত্যাচার আক্রান্ত ভালবাসাকে।
আজ কোন অপরাধে অভিযুক্ত হয়ে
বুকের স্পন্দন বন্ধ হলো ?
জীবনের স্বপ্ন আমার কেন ব্যর্থ হলো?
সবশেষে বলি!
কোন নারীকে য়দি বিনা দোষে তালাক দেয়া হয়,
মহাপাপী সে পুরুষেরা ক্ষমার যোগ্য নয়।
নাসিরা বেগম- কবি ও সাহিত্যিক।