★আমার লেখা নতুন কাব্যগ্রন্থ গভীর অরণ্য থেকে ★
আশ্চর্য সময়ে আশ্চর্য উপত্যকায় সেইদিন সেই মূহুর্তে একটা বিশাল হিংস্র নৃশংস বাঘ।শক্তির প্রজ্জলনে জ্বলছিল দু’চোখ
তার। দু’চোখ ছিল হিংস্র তপ্ত, জ্বলছিল জ্বলজ্বল লোভাতুর
প্রখরতর উজ্জ্বল।
বাঘটির চোখের কোটর হতে নিংড়ে পড়ছিলো হাঙ্গরের
রক্তলোলুপতা, রক্তলোলুপ হাঙ্গর হিংস্রতায়।
একটা মদ্দা চিত্রল হরিণ এদিক সেদিক , সেদিক এদিক
তাকাচ্ছিল।
হরিণটার চোখে ছিল সঙ্গীতের সৌম্যতা আর আদ্রতা।
হাঙ্গরের চেয়েও অতিশয় রক্তলোলুপ বাঘটা ঝাপ দেয় নিঃশব্দের চাইতেও
নিঃশব্দ মূহুর্তে অতিশয় হিংস্র ক্ষিপ্রতায়।
রক্ত লোলুপ বাঘটা আরো দ্রুততায় ছিটকে পড়লো উপত্যকার ঠিক যেখানটা হতে ঝাপ দিয়েছিল সেখানে ঠিক সেখানটাতে।
বাঘটার ছিন্নভিন্ন মৃতদেহ ভেঙ্গে ছিন্নভিন্ন রক্তাক্ত,, রক্তাক্ত
রক্তগন্ধ রক্ত বুদবুদ বাতাসে উড়ছে তখন।
রক্তলোলুপ বাঘটা অতিশয় মৃতবাঘ সেইসময় একদম।
রক্ত, হাড্ডি , মাংস , মজ্জ্বা ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে
নির্জীব মৃত বাঘ।
মায়াময় হরিণটার দু’চোখে তখন অগ্নিঝরা অগ্নিধারা ঝলকাচ্ছে
প্রবল শক্তি মত্তায় অটলতায়।
হরিণটার পত্রপল্লবহীন বৃক্ষশিং দু’ধারি ধারালো ছুরির বৃক্ষ, বৃক্ষছুরি তখন , তখন
অতিশয় ক্ষুরধার।
এমনকি বিশাল পাথুরে পাহাড়কে কেটে ফেলার মতো শক্তিধর
হয়ে উঠেছিল ছুরির বৃক্ষে পরিণত হওয়া সেই বৃক্ষ শিং মদ্দা হরিণটার,মদ্দা হরিণ টার বৃক্ষ শিং।
মায়াময় হরিণটার দু’চোখে তখনো অগ্নিঝরা , অগ্নিধারা
ঝলকাচ্ছে।
নীল নক্ষত্রের চেয়েও বেশী প্রখর অগ্নিময়, শক্তি ময় তীব্র
প্রজ্জ্বলনে তীব্র।
আশ্চর্যময় সময়ে আশ্চর্যতম উপত্যকায় সেইদিন।
আরিফুজ্জামান খান –
কবি,গীতিকার ও গন্থকার।