যেন কতকাল ধরে…….
হয়না লিখা তোমার কাছে,
একটি স্বপ্নচারিতার চিঠি!
কিংবা বিরাট একটি ফর্দ।
তোমায় ও দেখিনা যেন কতকাল!
নৃঃসংসতার চাপে পড়ে
এমন কি দাউ দাউ জ্বলা কুন্ডলীর দাবানলে পুড়ে পুড়ে চেপে গেছে আমার হাত
তাইতো আর কলম ধরতে পারিনা।
বৃদ্বা এবং তর্জনী আঙুল
আজ দুটোই অকেজো_
তারপরও নড়ছি এপাশ ওপাশ
আমার “প্রিয়” কলমটি ধরে!
আজ আমার মনে পড়ে-
ভীষণ ভাবে মনে পরে—-
মনে পরে সে দিন
আকাশটা ছিল অন্দ্বকারে আচ্ছন্ন
চাঁদটাও ছিল অমাবস্যায় মলিন
শুধু আমরা ছিলাম একটা জায়গায় বিলীন!
সে যাক।
যে কথা আজ লিখবো বলে
দু’হাত বাড়ালাম তোমার পানে
কলমটিও ধরতে চাইলাম তোমার নাম করে-
থেতলে যাওয়া দুটি আঙুলে ভর করে
শুধু এক কলম লিখতে চাই তোমার কাছে!
আমি যে বেঁচে আছি জীবন্ত মরে।
ঐ কলমই যে আমার তেষ্টা
যে কারণে আমি আজ সকলের কাছে ভ্রষ্টা।
জীবনের পরিসমাপ্তি ক্ষণ
আজ যে আমার নেই জানা;
কিন্ত আমার এই ফর্দ তোমার ঠিকানা অব্দি পৌছে যাবে তো?
ঠিক কতদিন দেখিনা তোমাকে,,,,,!
সেই পুড়ে যাওয়া ছাদ ধসে পড়া পর্য্যন্ত-
তুমি, তুমি পাড় পেয়ে গেলে সেদিন।
কিন্ত আমি উঠতে পারছিলাম না
অনেক্ষণ।
ততক্ষনে আমি _ _ _
তাইতো তোমার কাছে লিখা এ পোড়া চিঠি!
আজ আর সেই অমাবস্যা নেই
আজ আকাশে চাঁদ দেয় উঁকি ঝুকি
তাঁরারা ও হাসে মিটি মিটি
কিন্ত আমার কষ্ট রয়ে গেল
বুকের ভিতর ব্যথারা করে হাঁটাহাঁটি।।।
তবুও তুমি বাঁচাতে চেষ্টা করনি?
তবে_ আমি জেনেছিলাম তুমি আমার পরের সারিতে যোগ দিয়েছিলে।
অনেকের সাথে দেখা হয় আমার
কিন্ত, তোমার সাথে হোলো না একটিবার!
তাই, এই স্বপ্নচারিতা পোড়া একটি আপেক্ষিক চিঠি!
যেন কতকাল হয়না লেখা,,,,
তোমার সাথেও সে কতকাল হয়না দেখা!
বোধয় হবে
ষাট
কিংবা
সত্তুরের;
আচ্ছা তুমি এখন কোথায়?
আমার পশ্চিমে, নাকি উত্তরে?
মিতা- কবি, সাহিত্যিক ও সংগঠক।