এসো ছুঁয়ে দাও
জাগুক ঘুমন্ত রাত
অপ্রকাশিত সব অনুভব।
এই একটু মাত্র ছোঁয়ার রেশ থেকে যাক আজীবন
তোলপাড় করুক সারা তনুমন, অনুভবে আসবে যখন।
শরীর বেয়ে নামুক হাস্নাহেনার সুবাস,
নিঃসংগতাকে ছুটি দেই
ছুটি নিক মন খারাপ,
বিষন্নতা না ছুঁয়ে যাক অন্তত এই সময়টুকু।
জোৎস্নার স্বপ্ন মেখে টলটলে ঐ স্বচ্ছ চোখে চোখ রাখো ,
কান পেতে দাও নিঃসংগ ঘু ঘু ডাকা দুপুরে
চারিদিকে বিস্তীর্ণ সবুজ
এসো হয়ে যাই আজ একবারে বাধাহীন একেবারে অবুঝ।
এসো,
ঠোঁটের না বলা ভাষা বুঝে নাও
জল জমুক তৃষ্ণার্ত বুকে
উষর বুকে প্রেমের নতুন ফুল ফুটুক।
পথের পাশে দুলফি লতা ফুলগুলো
হাওয়ায় সুবাস ছড়াক
হোক কিছুটা মোহনীয় এই বাতাস।
তুমি একবার ছুঁয়ে দিলেই হই
আমি স্থির স্বচ্ছ এক জলাশয়
এক জোড়া চোখের দুকূল ছাপিয়ে নামাতে পারি
মাঝবয়সের একটা অপূর্ণ সাজানো স্বপ্ন।
এসো,
হাতখানি রাখো গালে
অভিসারের গোপন অভিলাষ রংগিন হোক
খুব যত্নে নাও বুকের গহীন
স্পর্শের আবেশ ছড়িয়ে দাও ঐ নীল রঙা আকাশের গায়
কামিনী ফুলের সুবাস জড়ানো চুলের গন্ধে হয়ে যাও বুঁদ
ধরফর করা বুকের শ্বাসটা এবার নাহয় নামুক।
এসো,
চমৎকার একটা সময়ে হারাতে চাই, তুমি আমি এই গ্রাম্য মেঠোপথের ধারে
বুনো ফুলেরা করবে স্বাদর সম্ভাষণ
প্রজাপতির মতো রঙিন পাখা মেলে চলো যাই হারিয়ে।
একটা সংসার গড়তে আর কতটা স্বপ্ন লাগে বলো
এসো হাতখানি রাখো হাতে
ভালোবাসার সঞ্চিত শেষ নির্যাসটুকু নিয়েই দেবো
বাকি বন্ধুর পথটা পাড়ি।
এসো,
কাছে এসে দূরত্ব মিটিয়ে নেই
এই একজীবনের অতৃপ্তিটা পূরণ হোক
এসো ছোট্ট চড়ুইভাতির একটা সংসার করি
শক্ত আলিংগনে জড়ানোই হবে একমাত্র সেরা উপহার
প্রিয় এই একজীবনে আর কিচ্ছু চাইবার নেই যে আমার।
তাওয়াব নূর – কবি, সাহিত্যিক ও সংগঠক।