এ কেমন স্বাধীনতা
স্বাধীন আমার দেশ,
কিন্তু দেখো এখনো!
ভাইয়ের হাতে ভাই খুন হয়,,,,
ছেলের হাতেও মা বাবা খুন হচ্ছে,,,,
ভাইয়ের তরবারীতে লেগে আছে ভাইয়ের তাজা রক্ত।
আজও হয় আসিফ হত্যা
সন্তানহারা বাবা মায়ের হাহাকার।
তাপসী ধর্য়নে অসহায় মায়ের বুকফাটা আর্তনাদ।
সব অশ্রু জমা আছে,,
রক্তিম লাল সমুদ্রে।
স্বাধীনতার এতো বছরে !
তরুণ শিরায় রক্ত দহন
স্ফুরিত হয়ে ওঠে,
বোমা পিস্তল গুলি
বারুদ নিয়ে দিশেহারা অবস্থা,,,,,,
আজও অন্ধকার জগতের হাতছানি।
যুবকের মনে আজও
প্রতিশোধ স্পৃহা।
শতকোটি শিক্ষিত সোনার ছেলে মেয়ে আজও বেকারত্বের সমস্যায় জর্জরিত হয়েছে,
কেউ কেউ অন্ধকার জগতের দুর্নিতীর হাতছানিতে জড়িয়ে পড়েছে একমুঠো ভাতের জন্য।
তাদের সুন্দর
অস্থিমজ্জা আজ ভস্মে ,
হেঁটে যায় চুরি,ছিনতাই,পকেটমার,
ডাকাতির প্রস্তুতি নিতে।
অবিবাহিতা যৌবনা মেয়ে
আজও পণপ্রথার যাঁতাকলে পড়ে আত্মঘাতী।
আজও ক্ষুধার আর্তনাদ।
অবিচার ,পাপাচার ,নারীর লজ্জা পুড়ে যায় লেলিহান লোভে।
আজও নারীর সঙ্গে দূর্ব্যবহার করা হয়,
যে যন্ত্রণায় অগ্নিসংযোগে আমিও জীবন্ত লাশ।
পুড়েছি আমিও,
আজও আমার অন্তরে দাবানল কতটা জানিনা।
হতভাগ্য কবি তাই ভগ্নহৃদয় নিয়ে লেখে খাতার পাতায়।
পৃথিবীর উজ্জ্বল পাখায়।
শান্তি ফিরবে একদিন।
এই স্বপ্ন দেখি আমি।
নক্ষত্রের অপার সীমাহীনতা,
আশাহত প্রত্যায়িত মনে।
ধ্বংসের বুকে তাই জীবনের গান গাই।
তথাগত ,অনির্বাণ বর্তিকা ,সমাহিতা, জ্যোতির্ময়ী পুষ্পস্তবক।
উদ্ভাসিত বিবেকের বাণী।
বিশ্ব আবর্তিত হবে মানবতা প্রেমে।
শহীদের রক্ত ঋণে অর্জিত মায়ের স্বাধীনতা,
হিংসায় ,প্রতিহিংসায়
কলঙ্কিত হবে বারবার ?
জ্ঞানের প্রদীপের আলো,দিয়েছি
অজ্ঞান চোখের পাতায়।
সন্ত্রাসী ,দিশাহীন ,মানব মানবী।
করতল স্পর্শ করি।
গভীর মায়ায়। ফিরে এসো।
শান্তির ঘরে।
প্রতীক্ষায় প্রিয় জন।
গড়ে তোল শুদ্ধ পৃথিবীর রশ্মি ত্বরণ।
বুকে নাওশুভ্র পতাকার ভাষা।
অনাগতা প্রজন্মের,জয়ধ্বনি তোমার পথ চেয়ে আছে।
একদিন শান্তির সীমা হীনতায় চলে যাব।
আমার কলম স্তব্ধ হবে।
হয়তো কোনো বুকে জ্বালিয়েছি জ্ঞানের প্রদীপ।
কারো বিক্ষুব্ধ চোখে,
শুদ্ধ মায়া দিয়ে গেছি।
হৃদয় লেখায় শান্তির,সৌম্যতা।
তাদের ঊষার বুকে,
ইতিহাস লিখবে নতুন জীবন।
নাসিরা বেগম- কবি ও সাহিত্যিক।