ঘাম ঝরে দরদর
গরমে তে দিন ভর।
মনে হয় ছাড়ে জ্বর,
শীতে কাঁপি থরথর।
কাঁপে ঘর মরমর
বৈশাখে এলে ঝড়,
খোকাখুকু হয় জড়ো,
বলে সবে আম পড়ো।
মাছি উড়ে ভনভন
দুধে বসে সারাক্ষণ।
বায়ু বহে শনশন,
নিভে বাতি লন্ঠন।
ফোঁড়া করে জ্বালাতন
পেকে ব্যাথা টনটন।
সহা যায় কতক্ষণ?
কাজে কর্মে নাই মন।
আসে ঢেউ নেচে নেচে,
তরী বাই সেচে সেচে।
ভয়ে সব জড়োসড়ো,
এলে ঢেউ বড়ো বড়ো।
ডাকে দেয়া ঘন ঘন
পথে নেই লোকজন।
বৃষ্টি তো এলো জোরে,
ভিজলো সবাই ভোরে।
ঘূ–ঘূ–রবে ঘূঘূ” ডাকে,
আম-জারুলের পাতার ফাঁকে।
কোকিলের কুহু ডাকে,
কাক যায় তেড়ে তাকে।
ম্যা–ম্যা বলে ছাগল শিশু,
ছুটছে মায়ের পিছুপিছু।
দুধ খাবে তাই এই বাহানা,
ম্যা–ম্যা–করে তার গাহানা।
ঘ্যাঙর ঘ্যাঙর ডাকে ব্যাঙ,
বিলের জলে মেলে ঠ্যাং।
কৈ,পুটি বা এলে চেং,
জোর পায়ে সে মারে ল্যাং।
মৌমাছি ফুরফুরে,
ফুলে ফুলে উড়ে উড়ে,
মধু তোলে ঘুরে ঘুরে,
ফুল হতে শুরে শুরে।
গোলাম ফারুক – কবি ও সাহিত্যিক।