Take a fresh look at your lifestyle.

কবিতা

656

আমার ব্যাস্ত সময়

এলার্ম শুনে ফজরের আগেই উঠি।
আজান হলে ফরজ পড়ি।
নামাজ শেষ করে জায়নামাযে বসতে চায় মন।
ঘুমের ঘোরে জানিনা দোয়া দরুদ ভূল করি কিনা।

এক সময় মনে হয় ভুল ভ্রান্তি পড়ে কোন
লাভ হবে না। দশটা মিনিট শুয়ে থাকি।

পরক্ষণেই ঘোরের মধ্যেই নাস্তা বানাতে যাই।
ঘরের মানুষটি অফিসে চলে যায়।

নিয়মে চালাবো বলে মেয়েদেরও ডেকে তুলি
সকাল সকাল। যদিও ওরাও ফজর পড়েই শুয়েছে।
নাস্তা খাওয়ার খানিকক্ষণ পরেই শুরু হয়
তাদের অন লাইন ক্লাস।

আমি মনে মনে বলি দু-তিনটা গ্রুপে লিখা পাঠাই
তারপর নাস্তাটা খাব।
ফেসবুক খুলে লেখাগুলো পাঠাই। তারপর ইচ্ছে করে আগে পাঠানো লেখাগুলো দেখতে।
কয়টা লাইক হয়েছে, কমেন্ট করেছে ক’জন।
এভাবে খানিকটা সময় চলে যায়।

তারপর সারাদিনের সংসারী কাজ সারতে গিয়ে
লিখতে বসার সময় হয় না। কতগুলো লিখার
টাইপ করা বাকী পড়ে থাকে। সেজন্য মনটা বেজায় আনচান করে।

ইবাদতের সময়টা একটু দীর্ঘ নাহলেও
ভাল লাগে না। ভাল লাগেনা স্বামী -সন্তানের সঠিক যত্ন, খেয়াল করতে না পারলে।

এতসবের মধ্যেও অসুখ নামের মেহমানের
আগমন আমাদের ঘরে খুব বেশি।

সেই মেহমানকে সাথে নিয়েই ঘর -সংসার, স্বামী -সন্তান, আর আমার ইবাদত, লিখা সবই পারফেক্ট ভাবে করার চেষ্টায় আমার সময় কেটে যায়।

 

দিল আফরোজ রিমা- কবি ও সাহিত্যিক।

Leave A Reply

Your email address will not be published.