কিছু মানুষ আছে যারা সমস্যা তৈরি করতে মজা পায়। যারা সমস্যা তৈরি করে তারা আবার সমাধান করার বদলে তা নিয়ে হৈহৈ রৈরৈ করতে আনন্দ অনুভব করে। সমস্যা বা বিপর্যয় কখনও প্রকৃতির নিয়মে ঘটে না। এর পেছনে সব সময়ই কোনো না কোনো ব্যক্তি বা সম্প্রদায় অনুঘটক হিসেবে কাজ করে। স্রষ্টা ঘোষণা দেন- ‘জল স্থলে যা কিছু বিপর্যয় তা তোমাদের দু’ হাতের কামাই’।
সমস্যা যা-ই ঘটুক সমাধানের পথ মানুষকেই বের করতে হয়। কিন্তু সমস্যা হলো- সকলেই একযোগে বলছে, এই সমস্যা সেই সমস্যা, সমস্যার কোনো অন্ত নেই। কেউ এসে বলছে না- তার কাছে সমাধান আছে। আমরা সমস্যার সমাধানকারীকে খুঁজছি, যিনি নিজের সমস্যা নিজেই সমাধান করতে উদগ্রীব। অন্যের সমস্যার কথা না ভেবে- তুমি নিজে আপন সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে কতখানি যোগ্য- আগে সেটার পরিমাপ করো। তোমার সৃষ্ট সমস্যা দিয়ে সুন্দর পৃথিবীকে আর কলুষিত করো না, দাদা।
প্রতিবেশী স্বামী-স্ত্রীর বিবাদ হলে তুমি কি পুলক অনুভব করো? উত্তর যদি হ্যাঁ হয়, তাহলে তোমার সংসারে অনুরূপ সংঘাতের জন্য অপেক্ষা করতে থাকো। অন্যের সন্তান পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করলে তুমি যদি সোৎসাহে আনন্দ উদযাপন করতে না পারো- তাহলে তোমার সন্তান অচিরেই ফেল করবে এবং তুমি অনেকের হাসি মুখ দেখে নিজে কষ্ট পাবে। আর তোমার সন্তানের মন্দ ফলাফলে যারা খুশি হবে তাদেরকেও কাঁদতে হবে এবং এটা তার কর্মফল। যদি নিজের অনাগত বিপর্যয় কাটাতে চাও, তবে আজই সর্বান্তঃকরণে শত্রু মিত্র সকলের কল্যাণ কামনায় নিজেকে নিয়োজিত করো। তুমি যার সমস্যা সমাধান করে মুখে হাসি ফোটালে, তোমার মুখে অনুরূপ হাসি ফোটাবার জন্যে পৃথিবীর কোনো এক প্রান্তে সেই মুহূর্তেই একটি শিশুর জন্ম হয়ে গেলো।
তুমি প্রতি মুহূর্তেই এমন শিশুর জন্ম দিতে পারো।
রফিকুল্লাহ কালবী _ কবিও লেখক