সুখ পাখিটা দেয়না ধরা চাইলে সহজে,
ভাগ্যবলে মানি তারে ব্যর্থ হয়ে শেষে।
চারিদিক যখন ছেয়ে গেছে দুঃখের অমানিশায়, ঘোরে অন্ধকারে পথ ভ্রষ্ঠা হয়ে খুঁজে ফিরছিলাম সুখের উজ্জ্বল প্রদীপটাকে।
অথৈসমুদ্রে সাঁতরে সাঁতারে ক্লান্ত হয়ে ডুবে যাচ্ছি যেন, হঠাৎ করেই যেন আবছা নিশানা দেখতে পেলাম আশাতীত ভাবে এই দূর্বল মনে প্রশ্ন উঁকি দিচ্ছে কুলে যেতে পারব কিনা?
একটা অদৃশ্য হাত, এহাত কি কুলে টেনে নেবে আমায়? একটু একটু করে আশার সঞ্চার করতে শুরু করলাম ঐ হাতের নিশানা ধরে ই।
এগিয়ে যাওয়া শুরু হল একসময় মনে হলো হ্যাঁ এই হাতটাই একমাত্র অবলম্বন।
ছোট একখানি পালতোলা নৌকা বৈঠা হাতে সেই অদৃশ্য হাতটাইতো এগিয়ে আসছে খুব কাছে এসে ভরসার সুরে বলছে আমায়–দেবে কি পাড়ি আমার এ ছোট্ট নৌকায়?
এ যেন আর এক পরিক্ষা,
তীরে যাব বলে যে নৌকা সে তো খুব ছোট,
পারব কি কুলে পৌঁছাতে?
তবে এ ওতো সত্যি ,মানুষ যখন বানের জলে ভাসে নৌকা কেন? খড়-কুটো আঁকড়ে ধরে ও বাঁচতে চায়।
তাই তো বাঁচার জন্য অবলম্বন করে নিলাম ঐ ছোট নৌকা কে ,
শুরু হল নতুন যাত্রা।
মহা সমুদ্রে ঐ নৌকা খানি পালতুলে চলতে শুরু করল, উদাসী মনে অবাক চোখে দেখছিলাম ঢেউয়ের খেলা, এখন আর ভাবনারা ভীড় করছে না ভয় ও হচ্ছে না, এখন তো আমি নিঃসঙ্গ নই।
কখন যে মনের মনিকোঠায় ভালবাসার সঞ্চার হলো ঐ বৈঠা হাতে আগন্তকের জন্য,
যাকে ভরসা করা যায়,
যার সাথে পাড়ি দিব এই বিশাল সমুদ্র,
তাকে সাথে নিয়ে দেখছি অস্তগামী রবি উদ্দীয়মান সূর্য্য আর ঝকঝকে রূপালী চাঁদের জ্যোৎস্না ।
নীল আকাশ টা যেন তার নীল আভা ছড়িয়ে ভালবাসছে সমুদ্র কে আবেগে আলিঙ্গনে আবদ্ধ হয়েছে একে অপরের সাথে,বাদ যাইনি আমারাও।
চলছে ছোট তরী পাল উড়িয়ে, হায়রে নিয়তি!
থেকে থেকে ঢেউ গুলো আছড়ে পড়ছে, তিব্র থেকে তিব্রতর হচ্ছে ঢেউয়ের গতি,
আঘাত করছে ছোট্ট নৌকা খানি কে,
এক নিমিষেই বিধ্বস্ত হয়ে গেছে নৌকা,
সব আশার যেন মৃত্যু ঘটলো আবার,
হয়তো আর কখনোই পারবো না কুলে পৌঁছাতে
তবু বৈঠা ছাড়েনি সঙ্গি,
মনের জোরে কুলে পৌঁছানো যায়না হয়তো এখনি বড় একটা ঝড় আসবে ভাসিয়ে নিয়ে যাবে,
মহা সমুদ্রের গভীরতায় হয়তো হারিয়ে যাব পৌঁছানো হবেনা আর কুলে।
নাকিবা মৌরী – কবি।