বহতা সময় আর বেগবান স্রোত একই গতিতে ধাবমান।
জীবনের ফেলে আসা দিন শুধুই অতীত।
বর্তমান সময়গুলোতে নিদারুণ শূন্যতা অনুভবিত।
জীবন কি শুধুই ভোগ্য উপকরণ করেছে….আমায়?
দেহতত্বের ভাষা ছাড়া মনস্তত্ত্ব বলে কি কিছুই নাই?
তোমার তত্বের অধ্যায়গুলো আমার চেয়ে ভিন্ন।
দেহতো একসময় হারাবে তার মাধূর্যতা, লাবণ্যতা
আর মনটা তো সেই চিরযৌবনা, চিরতরুণ।।
তুমি দেহতত্বে বিশ্বাসী না হয়ে একটুতো ভিন্ন হতে পারতে
তোমাতে আমাতে ব্যবধান দেহ আর মনে।
শারিরীক অধ্যায়ের পাঠক হতে পারিনি বলে আজও
একা আমি…ভাসছি অসীম নিস্তব্ধ শূন্যতায়।
এ জীবনে আছে ঝড়,বৃষ্টি.তুফান আর কটকটে রোদ্দুর।
অপেক্ষায় আছি মনস্তাত্ত্বিক অধ্যায় অবগাহনের
যদি কখনও সুযোগ পাও তবে এসো।
হাতে হাত রেখে, চোখে চোখ বলবো মনের অব্যক্ত কথা
মুছে দিবো পিছনের অসহ্য যন্ত্রণার করূণ ইতিহাস।
মানুষ যা চায় সবই কি কখনও পায়?
কিছু অস্পূর্ণতা থাকবেই জীবনে সবার।
এই নিয়ে পথচলা আর বেঁচে থাকা জীবনের।।
মিমি মাহজাবিন – কবি ও সাহিত্যিক।