আমি যুগান্তরের ওপার থেকে দু’বাহু প্রসারিত করে বসেছিলাম।
কয়েকটা অনাহুত, অনাকাঙ্খিত দিন যেন অনন্তকাল।
শেষ কি কথা হয়েছিলো, কোন সে অলক্ষুণে সময়?
শেষ কি নামে ডেকেছো আদরে…
শেষ ক’টা চুম্বন রেখা এঁকেছো আমার ললাটে,
শেষ কি বলে বিদায় নিয়েছিলো— কোন অভিমান!?
খুঁজতে গিয়ে এক আকাশ তারা গুনে ফেলেছি— এ ক’দিনে।
চোখের কোণে জমতে শুরু করেছিলো শ্রাবণের ঘন মেঘ।
বুকের ভেতর চিনচিনে ব্যথার সেই পুরনো অসুখটা।
আমাকে মৃতদেহ ভেবে ছিন্ন ভিন্ন করেছে নাম না জানা হতাশা।
গুমোট আঁধারে গোঙানির শব্দ, বিমুখ দৃষ্টিতে কেবল অমানিষা।
খা খা মনাকাশে সকাল সন্ধ্যা চিল-শকুনের উড়াউড়ি।
নির্মল হাসির রেখায় স্পষ্ট পরিহাস নিঃসঙ্গতা—
পাথর চাপা ঘাসের মতো বিবর্ণ মন, আঁচেও পোড়ে না।
ভারি নিঃশ্বাসে নীলাভ কষ্ট অক্সিজেনহীনতা….!
চড়ুইয়ের চঞ্চলতা ডুব দিয়েছে অথৈ সায়রে নির্বাসনে।
জীবনের হাহাকার আস্তিন গুটিয়ে নিয়েছে—
বিশ্বাস বলে আর কিছু নেই অবশিষ্ট এই ধরাধামে।
তারপর, মৈনাক সময় ঠাঁয় দাঁড়িয়ে নিমেষকালের মিছিলে,
বন্ধ দুয়ার গেলো খুলে কোন এক জাদু মন্ত্রবলে—
রূপোলি চাঁদের আলোর ঝলকানি অসময়ে পূর্ণিমা।
রঙধনু রঙে মাখামাখি …. ঘর-মন-পৃথিবী;
তোমার একটি কথা মুছে দিলো—
বিষাদের তুলিতে আঁকা জলবিলাপের সব ছাপ।
কুলসুম আক্তার সুমী- কবিও সাহিত্যিক।