হে মানুষ! তুমি কবে হবে সাবধান ?
প্রকৃতি খুলছে দ্যাখো নিজ পরিধান।
সকাল সকাল আজ হয়ে গেছে শুরু,
রজনী থেকেই বাজে মেঘ গুরুগুরু।
প্রকৃতি আগে থেকেই আছে রুদ্ররোষে,
আমরা বেহাল দশা যেন কার দোষে !
খরা হলে পৃথিবীর মাটি হয় ঝামা
চৌদিক ফেটে চৌচির, পুড়ে তামা তামা।
অর্ধেক বছর থাকে বৃষ্টির দখলে,
বাকি অর্ধেক বিরাণ খরার কবলে।
এ পৃথিবী নিজহাতে যে করেছে সৃষ্টি,
তিনি কী চান সেথা হোক অনাবৃষ্টি ?
বৃষ্টির কবলে তরু, লতা পঁচে সারা,
মাঠের ফসল জলে ডুবে পড়ে মারা।
ধান ক্ষেতে জলৌকার বাড়ে আনাগোনা,
কৃষকের কাজে ভাটা মনে দোনা মোনা।
চাষির লোহুতে বাসা বাঁধে কতো জনে,
জল কীট, ব্যবসায়ী আর মহাজনে ।
আমরা এ ধরণীকে ধ্বংস করি রোজ,
কখন, কীভাবে? তার রাখে কেউ খোঁজ ?
জলবায়ু প্রতি কেউ না সহনশীল,
প্রায়শই ছুড়ছি যে পরমাণু ঢিল ।
প্রতিদিন এ ধরার তাপমাত্রা বৃদ্ধি,
বৃক্ষ কেটে নগরীর রুচি পরিশুদ্ধি।
প্লাস্টিক, কার্বন, সীসা, পলিথিন আর,
যত্রতত্র আবর্জনা, ময়লার ভার।
মহাশূন্যে রকেটের চলে উতক্ষেপন,
কার্বন মনোক্সাইড বাড়ে নিঃসরণ ।
মধ্য জুনে মেরুদেশে বরফেরা গলে,
সাগর যুবতী নারী তার বক্ষ দোলে।
গ্রীনহাউজ এভাবে করে ফেলি ধ্বংস,
আমরা তা হলে কেন হবোনা নির্বংশ ?
প্রতি বছর বাড়ছে বজ্র মৃত্যু হার,
প্রকৃতির সাথে করি রুঢ় ব্যবহার ।
তাই তো সে ধীরে ধীরে নিচ্ছে প্রতিশোধ,
তবুও আমাদের কী ফিরবে সুবোধ ?
মোঃ নূরুল আলম – কবি ও সাহিত্যিক।