সময়ের ভেলা ভেসে গেছে দূরে
দখিনের হাওয়ার মতো মৃদুলয়ে,
কখন যেন বসে গেছে শীতের রুক্ষতা
আজ তার অবয়ব জুড়ে,
ক্লান্ত দুচোখের কোলে সাক্ষী, মধ্যাহ্নের লুকোচুরি!
নিটোল মুখের মানচিত্র জুড়ে আছে ব্যর্থতার বলিরেখা।
বহুকাল পর আজ সে বাস্তবতার মুখোমুখি অজান্তেই ,
কবে ভালোবেসে নিজেকে সাজিয়েছিলো ফুল আবরণে !
কবে নিজেকে দেখার ছলে, রেখেছিলো চোখ আয়নাতে!
মনের গহীনে সেই ছায়া কাঁপে তির তির করে,
পদ্মদীঘির জলের মতন উপচায় শিশির, চোখের অতালন্তে।
ঝরাপাতার মর্মর ধ্বনি বুকের পাজরে শুধু বিদায়ের ঘন্টাই বাজায়,
এসেছে কি সে সময়!
কালের যাত্রায় বেজেছে কি সুর অস্তরাগে!
বহুকাল ধরে কোনো অবসরে,
গুন গুনিয়ে উঠেনি মন কোনো সুরে—-
কখন যে ভালোলাগা ইচ্ছেগুলো মেঘ হয়ে
ভেসে গেছে জীবনের গুমোট আকাশে —-
এই সময় স্পন্দিত হয় না আর বাসন্তী রাগে,
কুসুমিত ফুলেল সভায় আসে না তো কোনো আমন্ত্রণ!
শুধুই বরষা ঝরে চারিদিকে শ্রাবণ ধারায়,
অলিখিত বিদায়ের সুর ভাসে
পাতাঝরার জীর্ণতা বুকে নিয়ে।
জীবন মানেই এখন দেয়ালে ঝুলানো সেই স্মৃতিময় ক্যানভাস,
যা এক বিশাল জলরাশির প্রবল ঢেউ নিয়ে আছড়ে পড়ে মনের বেলাভূমিতে!
সময়ের স্রোত যেথায় কেবল ভালোবাসার কথাই বলে—–
জীবন কি তবে এমন-ই!
হোঁচট খাওয়া বার বার জীবনের করিডোরে!
অতীত হৃদকম্পনে খুঁজে ফেরা নিজকে?
নাকি অস্তমিত সূর্য দেখা স্মৃতিলোপ ঘোলাটে চোখের মাঝে!
হাছিনা মমতাজ ডলি- কবি