তুমি এলে মেশকের ঘ্রাণে ম ম পাথুরে চাতাল
আঙ্গিনায় কলাপী ময়ূর, অদূরে মৃদঙ্গ বাজে মৃদু,
সরষের ফুলে নাচে আগুনের ছন্দে মধু মাছি।
প্রজাপতি ওড়ে শূন্য ঘরে, ডানা ঝাড়ে বসন্ত বাউরি
করোটিতে গেয়ে ওঠে গঙ্গাফড়িং, বর্ণিল ফুলঝুরি।
তুমি এলে অকস্মাৎ সরোবরে খলবল ধ্যানমৌন মীন
জলের অতল ফুঁড়ে হেলেদুলে মাথা তোলে ক্ষীণায়ু বুদ্বুদ
নিঃশ্বাসের সামান্য বায়ু দিয়েছি যা বুদ্বুদের রুহে
নিঃশেষে মিশে যায় অবিমিশ্র নীলে।
সজল মেঘের বেশে এসো তুমি আকাশের রাণী
দারুণ খরার শেষে, ষোড়শী ধানের শীষে শীতল পরশ।
ইষ্টনাম মুখে প্রিয় কামড়িয়েছি মাটি, কেটেছি কসম,
তোমার এজেন ছাড়া, তিন সত্যি, যাবো না কোথাও।
মুজতাহিদ ফারুকী – কবি, সাহিত্যিক ও সাংবাদিক।