কখনো পিছনে ফেরে মন, ছোটে স্মৃতিরোমন্থনে
হতাশার বিষণ্নতায় ডুবে থাকে অকারণ
মন পোড়ে কি জানি কার বা তরে!
ভালোবাসাও যখন থাকে ঘিরে
দ্বিচারিণী মন কেবলই কাঁদে অলক্ষ্যে
দূরের অচেনা ভবঘুরে মনের হাতছানিতে
এ কেমন দুঃখ বলো সুখের বসতে!
নিজেকে বিষাদে ঢেকে রহস্যময়ী আড়ালে
বুনোহাঁস হয়ে জলে রোজই সাঁতার কাটি
নিভৃতে যখন কাঁদে মন, একাকীত্বের অসুখে!
কোথায় কে যেন বলে যায় কানে কানে
রবে তুমি অন্তরে নীরবে —-চিরকাল ঘুমভাঙানিয়া সুর হয়ে!
পিছুটান হয়ে লাগাম যে টানে মায়া
গুন গুন করে সুর, চকিতে জলের মাঝে কাঁপন লাগায় অশরীরী কার ছায়া!
মনকে দিয়েছে করে নিঃস্ব
কফিনে মুড়িয়ে নিত্য, কে সে লোবানের গন্ধ ঢালে!
নিজেকে পোড়াই বারে বারে, কি অনিঃশেষ অনলে?
প্রতিদিন অকারণে দুঃখ বিলাসী সে অনুভবে —-
মুঠো ভরি হাতে আজন্মকালের তরে
এক শ্রাবণের অগণন বিষাদের বরিষণ!!
এ কোন অসুখে মরি বারে বারে
ঐন্দ্রজালিক অদৃশ্য এক সত্তাকে স্মরণ করে!
হাছিনা মমতাজ ডলি- কবি ও সাহিত্যিক।