তার সাথে আমার মতানৈক্য হয়নি ঘুণাক্ষরেও,
হয়নি মতবিরোধ কখনোই,
তার শত উপেক্ষায়ও আসেনি,
তার প্রতি আমার একবিন্দুও তিক্ততা !!
বরং ক্রমাগত তাকে ভালোবেসে তারই ভাসমান পদ্ম আঁখির লোনা জলে সাঁতার কেটেছি ক্লান্তিহীন ।।
তার গোলাপি-ঠোঁটে ঠোঁট রেখে গরম নিশ্বাসের উত্তাপ নিয়েছি নিশিদিন,
তার বুকের ভাঁজে ।। হ্যাঁ তার বুকের ভাঁজে মুখ লুকিয়ে,
তারই প্রেম সরোবরে গভীর থেকে গভীরতায় করেছি অবাধ বিচরণ !!
যার আবির, যার আবির এখনো শিহরণ জাগায় আমার অবচেতন মনে !!
তার অবজ্ঞার ধারালো তিরটা বিদ্ধ করেছে আমার সরল হৃদপিণ্ডে অনবরত !!
লাল রঙে রক্তাক্ত করেছে আমার শান্ত নদের নীল জল !!
তার কপট তান্ডবে বিধ্বস্ত আমার খেয়া
বৈঠা বেয়েছে,
তারই পাথুরে নদীর জলতরঙ্গে অবিরত !!
স্রোতের টানে দিশেহারা হয়েছে প্রতিনিয়ত,
কূল পাইনি কখনোই,
ভেসে চলেছে গন্তব্যহীন ।।
ক্লান্তিতে, পরিশ্রান্তিতে পরাজিত হয়েছে বারবারই,
বাধা পড়েছে কোন অচেনা দ্বীপে ।।
এবারের অবহেলার আঘাতে,
আমার ভাঙা নৌকায়, আমি দাঁড় চালিয়েছি নিরলস-
থামিনি একটুও,
তাই অভিমানের খেয়া দূরত্ব বাড়াচ্ছে ক্রমাগতই !!
আমি জানি, সে আর আসবে না কভু,
নীল শাড়ী,
নীল চুড়ি,
নীল টিপে নীলাম্বরী সাজে এ খেয়া ঘাটে,
আমার এ ছোট্ট শেষ খেয়া তরণীর, সর্বশেষ ও সুবোধ যাত্রী হতে !!
হয়তো আর !! হয়তো আর, থামবে না আমার খেয়াতরী, ফিরবে না এ মরা নদীর প্রাণহীন ঘাটে,
চলছে, চলবেই অনন্তকাল অন্বেষণের আঁখি মেলে, আমার এ ভাঙ্গা খেয়াতরী খানি, এঘাট থেকে ওঘাটে !!
নীল- কবি ও সাহিত্যিক