বিগত দিনগুলো ঐ মৈত্রী সংকলনেই কেটেছে
আমি নারী
কারো অর্ধাঙ্গিনী হতে পারি নি!
শান্তি নিকেতনে আমার বুকের পাঁজর আটকে থেকেছে
হৃদয় টাও থেকেছে নিরন্তর’ই অন্যথায়
পুরোনো মানুষজন সব গিয়েছিল সরে
আমি নারী ছিলাম অবলা!
রূপ আমার ছিল না জৌলুস দেবার মতো তেমন করে
কোনো অধ্যায়
এক রেস্তোরায় প্রতীক্ষার হাত বাড়িয়ে ডেকেছি বহুবার
আমার প্রণয়ে বেঁধেছিলাম সুখ একটি অঙ্গুরী!
তাল লয়ে কোনো ঝংকার তুলতে পারে নি
এই অবেলায়
তারপর :
অনেকদিন পড়ে থাকা এক আশ্রমে
পীঠ ঠেকে গেছে দেয়ালে
আমি নারী বাসন্তী বৈজন্তী মালা
কী ছায়া
কী মায়া
নারী আর পুরোপুরি হতে পেরেছি কই?
সংকলনে পড়েছে আমার নাম অধরা!
আমি এখন শুধুই একেলা!
নাম নারী!
দিবসে ভাবি না
সময়কাল ঘুরে আসে “আট’ই মার্চ ” নারী দিবস!
আমরা নারী তো সব কালের অধম
কে করেছিল কবে এতটুকু মূল্যায়ন?
পুরুষ যিনি প্রথমেই বাবা
তারপর, ভাই।
আর একজন খুব স্বনামধন্য পুরুষ যার নাম স্বামী
পরে আসি আত্মজ!
প্রিয় সন্তান দশমাশ দশদিন জঠরে যতনে রাখা স্রষ্টার সৃষ্টির দান!
যেন এক স্বর্গীয় পুষ্পমাল্য
প্রিয় ছেলে!
এরা ও পুরুষ।
ভালো আছি কী? তাদের সংস্পর্শে থেকে!
আমি নারী! মৈত্রী সংকলনে এবার জাগিয়ে দিয়েছি
যুগে যুগে আমরাই নারী!
বেগম রোকেয়া
সুলতানা রাজিয়া
নুরজাহান বেগম
বেগন ফয়জুননেসা
বীরাঙ্গনা করিমন বেওয়া,,,,,, আরো অনেকে।
আজ নারী দিবসে কোনো আলাদা নারী নয়
চোখের মধ্যেই ধক্ ধক্ জ্বলে বিজয়িনী সোনাভানের কথা,,,,
আমি নারী মিনতী দাস
আমি রমলা
আমিই পারু!
আমি ঐন্দ্রিলা
আমি এক একটি ধারালো উন্মাদিণী “দ্রৌপদী!”
কখনো আবার সীতা
দেবী পার্বতী:
আমি স্বর্গের অপ্সরী!
আমি সেই মেয়ে! যুগে যুগে সবাই করে যার স্বপ্ন রচনা
আমি মোনালিসা!
আমি নারী!
আমি নারী
আমি নারী সবার ভালোবাসা,,,,,,,!!
ফেরদৌসি মিতা- কবি ও সাহিত্যিক।