ভেবেছিলাম প্রেমের প্রত্যুষে
ধরবো না কলম আর,
এই একলা মন উজান
মায়াবিনী পথ দিয়েছে
লাবণ্যময়ী চতুরাননের ডাক!
সময়ের দ্বারে বসে ভাবি
ওই দূর দেশ থেকে আসুক
আমার ডাক, আসেনা কনো কন্ঠ
মেলার কথার সুর|
এই রজনী নীহার বিন্দুতে
ডুকরানো মন কথা
লিখতে লিখতে সময়ের
মায়াবিণী ব্যবধানে আমি
প্রেমের বিস্মৃতি বয়ে নিয়ে যাই
ওই আসমানীতে, সেথায় হারমানা সুরে স্মৃতির যাকাতে লেখা থাক আমার তোমার কলম প্রেমের কথা |
ভেবেছিলাম প্রেমের প্রত্যুষে
ধরবো না কলম আর,
বন্ধু হবো মৃত্যুর পথযাত্রীর,
তবু পারলাম কই?
সেইতো স্মৃতির মন্থরে
আবার ডুব দিয়ে যাই!
সেই মায়াবিণী ছোঁয়ার জাদুতে
আমি আজও এই কায়ার থেকে
উন্মুক্ত হতে পারিনি|
পারিনি তোমার চুম্বনকে
দ্রোহীর টানে নিজ কায়ারে শেষ করতে |
সময়ের ইন্দ্রজালে চুলের রঙে আজও সেই জুঁইয়ের সুবাসে আমি তোমারে সিকিমের রাস্তায় খুঁজে যাই হেথায় সেথায়!
হিমালয় দেয়নি আমারে এই ভালোবাসার ঠিকানার ঘর, তবুও আমি হিমালয়ের কোলে ভালোবাসার জোনাকি খুঁজেছি,না পাওয়ার দুঃখে নিজেকে তোমার প্রেমে মৃত্যু বরণ করিনি! কাঞ্চনজঙ্ঘার সোনালী উজ্বলতা দেখছি তোমার ললাটের প্রদোষের টিপে!
বাতাসের হাল্কা দুষ্ট মিষ্টি গুনগুন
তোমার দুলের দোলানি
ঝর্ণার জলে এলো মেলো
নবীন পথে বয়ে চলা উদ্যম,
আর ওই নূপুরের শব্দ আমার হৃদয়ে
নতুন দিনের মিলন তিথির স্বপ্ন|
তোমার ওই হাঁটা সুমুদ্রের
অজানা বিশাল ঢেউয়ের
চূর্ণ বিচূর্ণ করা জলরাশি
পতিত হওয়া এক চিলতে বাঁচার আশা|
আজ আশা তালা বদ্ধ কল কারখানা,জীবনরাশি হাত ধরেছে রাস্তার ডাস্টবিনে বটুকের সাথে|
আমার জীবনে তুমি সত্যি এক আশ্চর্য প্রদীপ!
তাই তো ভেবেছিলাম প্রেমের প্রত্যুষে কলম নেবো না আর|
রাজদীপমজুমদার – কবিও লেখক