মহামান্যা,
আপনার গোলাপি জিহ্বা মা’শাআল্লাহ এমন তুখোর, সিংহীর খরখরে জিহ্বার প্রাখর্যও ঘাট মেনে নিজেকে গুটায়, বেগতিক কচ্ছপের আত্মরক্ষার লাজুক নিয়মে!
দেখেছি তো তীক্ষ্ণধার ছুরি অথবা শ্বদন্ত ব্যবহার না করেই শুধু ওই জিহ্বা চালিয়ে কী অদ্ভুত অনায়াস দক্ষতায় সুনিপুণ ছিলে নেন ঘাড়ত্যাড়া গণ্ডারের নাছোড় চামড়া-
জিহ্বার সেই নিখুঁত কারুকাজ দেখে চকচকে চাকু ছিটকে পড়ে মরা গরু ছিলতে আসা রাম বিরিশের পেশাদার হাত থেকে-
আর উষ্ণ রক্তের নোনা স্বাদে হৃষ্ট সেই রগুড়ে জিহ্বা আপনার, আহা, শুকনো বিলের কাদায় ধুঁকে ধুঁকে বেঁচে থাকা মাগুরের মতো হঠাৎ বৃষ্টির সুখে আত্মহারা শরীর পাকায়-
আমি লা-জবাব, তাবৎ বিরাগ ভুলে, আয় খোদা, কসম কসম, বিস্ময় আতঙ্ক ত্রাসে, অকস্মাৎ আদিম মানুষ, বিশ্বাস করুন, বেমিসাল আপনার অসংবৃত রসনার প্রেমে পড়ে যাই; আমার বিমুগ্ধ হৃদপিণ্ড অবিকল হলিউডি ঢঙে বুকের পাঁজর ফুঁড়ে পাঁচবার শূন্যে লাফ দেয়, যেন সে সেঁটেছে মুখে অতৃপ্ত আত্মার আছর জড়ানো এক পুরনো মুখোশ।
মহামান্যা,
জিহ্বার কারুকর্মে আপনি তো বিশ্বসেরা। আফসোস, বড়োই আফসোস, পৃথিবী জেনেছে শুধু ক্লিওপেট্রার যোনি ও জিহ্বার ব্যাভিচার- আমরা নাদান নাচিজ, ক্ষমা করবেন, আপনার পারঙ্গমতার অবিশ্বাস্য বীরগাঁথা ডিজিটাল গ্লোবাল পল্লীকে আজতক জানাতে পারিনি!
আপনার সবল যুগল খুরে এই নিন বান্দার সাষ্টাঙ্গ প্রণাম!
মুজতাহিদ ফারুকী- কবি, সাহিত্যিকও কলামিস্ট।