ফিরে আসবো কবিতা হয়ে
খুব ভালো আছি, এই শহরের আলোছায়া স্পর্শে
প্রতিদিন কমলা রোদ্দুরে, হেঁটে হেঁটে যাই আপন গন্তব্যে!
চৈতালি হাওয়া গায়ে মাখি তপ্তরোদে, ছুঁই আলতো পরশে!
সবুজ সোনালু ফুলে চমকিত হয় ক্লান্ত মন!
আবীর খেলায় মেতে ওঠে শেষ বিকেলের নীড়ে ফেরা পাখীর কুজন!
অজস্র জোনাকিপোকা সেই আঁধারে নামায় পূর্ণিমার ঢল!
রোজ দেখি এই শহরের অনিঃশেষ মায়াবী খেলার ছল!
তবু একদিন ফিরে যেতে হবে অনন্ত জীবনে!
এই শহর অচেনা হবে আগামীর পৃথিবীতে
ইচ্ছেরা ধূসর পাখী হয়ে চুপি চুপি কোনো এক সূর্যোদয়ে
ডানা মেলবে ভোরের আকাশে ——!
তবু ফিরে ফিরে আসি আমি অনুক্ষণ, অলখে তোমার
ঝরাপাতা হয়ে ছায়াবীথি তলে।
পরের জনমে আমি ঘাসফুল হবো
তোমার সবুজ ঘাস বোনা ,শিশির বিছানো পথে।
খুব ইচ্ছে করে প্রজাপতির বর্ণালি রঙ ছুঁয়ে কোন ফুল হই,তোমার বাগানে।
ফিরে আসবো সোনালি বিকেলের সে ম্লান ছায়ায়
সিঁদুরে রঙের ডুবে যাওয়া অরুণ আলো হয়ে—–
পরের জনমে দেখো আমি রাতজাগা চাঁদ হবো
শুধু তোমার চোখের আলো হতে,
ঘুমহীন চোখে নীলজোছনায় সাদা সারসের মতো উড়ে যাবে তোমার কবিতার পান্ডুলিপি,
পরিযায়ী পাখীর মতন!
কবি! হয়তো তখন তুমি অন্য আলোয় নতুন এক কবিতায় ডুবে রবে!
অহেতুক মনে বিষণ্ন গল্পের ছোঁয়া নিয়ে বেনোজলে ভাসি
জানি বার বার তোমার প্রতিটি কাব্যে ফিরে আসি
অলিখিত নতুন কবিতা হয়ে পুনরায় আমি।
হাছিনা মমতাজ ডলি- কবি, সাহিত্যিক ও গবেষক।