Take a fresh look at your lifestyle.

বার্ধক্য

558

 

অনেক দিন পর দেখা হয়ে গেলো।

চলাতে – গলাতে ছিলো এলাকার সেরা পালোয়ান
আমার দুরন্ত কৈশোরে দেখেছি যেমন।

ন্যুব্জ হয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে দুর্ভর দেহেখানা বয়ে
পুরনো চেহারার সাথে মিল নেই একেবারে —-
মানচিত্রের সাথে যেমন মেলে না
নদীগর্ভে বিলীন চরের জমি, ভেঙে যাওয়া ভিটে- বাড়িঘর।

পথ আগলে দাঁড়ালাম তার।

আমার মুখের পানে চেয়ে বুঝতে পারলো না কিছু
ভূমি আর মানচিত্রে এখানেও বিরাট ফারাক!

আপনি দিরাজ মোল্লা না!
বৃদ্ধের বিস্ময় কাটাতে বললাম —-
আমি অমুকের ছেলে অমুক।

বৃদ্ধ অতীত আর বর্তমানের যোগফলে নিমগ্ন যখন
তার ঘোরের মধ্যেই জানতে চাইলাম —

তা সুস্থ আছেন কেমন?

বেশ ভালো আছি।
তবে চলতে পারি না।
বেতোগ্রন্থি বেধেছে সাধ পথের বাঁকে বাঁকে
হৃৎপিণ্ডটা কেমন বুকের খাঁচায় বাড়ি মারে
যেনো কেউ হাতুড়ি দিয়ে ভাঙছে দেওয়াল
পুরনো হাপর টেনে কুলোতে পারি না আর
দমটুকু আসে আর যায়
না জানি কখন থামে এই হাওয়াকল!
পুরনো সাথীরা একে একে চলে গেছে সব!

এটুকু বলেই কলাইয়ের মাঠবেয়ে
একাকী হেঁটে গেলো দিরাজ মোল্লা দিগন্তের দিকে
আকাশে বিলীয়মান অ্যারোপ্লেনের মতো
একটা নতুন বাজারের দিকে।

আবু সাইফা – কবি,লেখক,সাহিত্যিক ও সংগঠক

Leave A Reply

Your email address will not be published.