ছোট্ট খোকা কথা বলে
আধো আধো বোলে
তাইনা দেখে মায়ের চোখে
হাজার স্বপ্ন দোলে।
মায়ের আদর জড়িয়ে বুকে
বড় হলো খোকা
চোখের আড়াল হলেই খোকা
মা হয়ে যায় একা।
শাসন ভুলে মাযে তাকে
শুধুই ভালো বেসেছে
অন্ধ মনের আদর দিয়ে
মাথায় তুলে রেখেছে।
তাইতো খোকা নিয়ম-নীতি
এসব কিছুই শেখেনি
জ্ঞান বুদ্ধি বিবেচনা কিছুই
তাহার জুটেনি।
হাল-ফ্যাসান আর চটকদারে
ব্যাস্ত সময় কাটে
দু’কানে সে তার লাগিয়ে
হাটে পথে-ঘাটে।
স্বজল চোখে মা তাকিয়ে
হাসি যে নেই ঠোঁটে
ফেস বুকেতে ব্যাস্ত ছেলে
সময় যে নাই মোটে।
মা ডেকে কয় অজু করো
নামাজ পড়ো খোকা
ছেলে বলে, বকবকানি রাখো এবার
থাকতে দাওতো একা।
মা বলে আয়রে খোকা
এবার খাবি পেটটি ভরে।
সাজিয়ে দিলাম খাবারগুলো
অনেক যত্ন করে।
ডেকে ডেকে ক্লান্ত হয়ে
খুঁজে ছেলের ঘরে
ছেলে যে নেই ঘরে তাহার
চোখে অশ্রু ঝরে।
রাত দুপুরে ফিরলো খোকা
ক্লান্ত দেহ নিয়ে
বাজে বকে পড়লো ঢলে
মদের গন্ধ গায়ে।
ঠিক সময়ে খায় না ছেলে
ঘুমায় না সে রাতে
মা বলে সে ডাকে না আর
দুপুর বিকেল প্রাতে।
মায়ের চোখের স্বপ্নগুলো
গেল কোথায় উরে
তাহার নয়ন এখন শুধু
ভাসে ব্যাথার নীরে।
এক সকালে পুলিশ এসে
হাত কড়া দেয় হাতে
পুলিশ জানায় তাহার ছেলে
খুন করেছে রাতে।
মা কেঁদে কয় পুলিশ ভাই
একটু সময় দাঁড়াও
আমিই আসল অপরাধী
আমায় নিয়ে যাও।
দিল আফরোজ রিমা- কবি ও সাহিত্যিক।