কতদিন হয়ে গেল একটুও তাকিয়ে দেখিনি দূর- আকাশটির পানে।
জানতে ও পাচ্ছি না-
পৃথিবী নামক গ্রহটির ঐ নীলাভ ছাদটি কেমন আছে?
ভালোবাসার রংগ মেখে আজো কি সে নীলাবরিত- রবে?
নাকি সেও আজ ভয়ে কাতর হয়ে ধুসর মেঘে ঢাকা- পড়ে গেছে!
এখন তো এখানে শুনি বসন্তের আগমনী গুঞ্জন মাঝে- মাঝে
আসলেই কি বসন্ত আজকালও হেথা কথা বলতে জানে
প্রকৃতির কানে ফিস ফিসিয়ে ভালোবাসার হৃদয় ভরে,
আজো কি এ ধরাতে গাছ গাছালিতে নব কুঁড়ির দেখা- মেলে?
বড়ো সাধ হয় বদ্ধ কপাটখানি খোলে একটু হেরিনা-
-নয়ন ভরে !
পাতা পল্লবে বৃক্ষরাজীর শাখা প্রশাখার যৌবন কি উঁকি মারে?
কতদিন হয়ে গেল সেই যে দোয়ারখানির খিল দিয়েছি- এঁটে
আর যে খোলার কথা ভেবে দেখিনি, আজোবধি মনের- ভুলে!
কি জানি!
হয়তোবা খিলটিতে এ ক’দিনের মাঝে কতযে জং-
-গিয়েছে বেঁধে !
শত দঃখ আর হাজারো অভিমানের তরে।
এতো ভয় ভান্ডারে ডুবে গেলাম কখন কূল পাই না যে-
-ভেবে
এমন কারাবাসী যুদ্ধা হবার খোয়াব কভু দেখিনিতো –
-আগে!
আধামরা এ জীবনকে বহন করতে আর চায় না যে –
-এদুটি কাঁধে
মনে মনে ভাবি একাকী নিরালে আমার আমিরে ফিরি- খোঁজে!
এ কোন আমি? আমি কি সেই আমি, যেই আমি সদা-
-চলতে জানে!
সুদূরের পথ পানে চলছিল সেযে নির্ভীক যুদ্ধার বেশে
কোন পিছু ডাক পারেনি তাকে এতটুকু পিছু টলতে
শত ঝড় ঝাপটা চলে গেল তার মস্তকটিকে ছুঁয়ে ছুঁয়ে
তবুতো একটুও ঘাবড়েনি এ যুদ্ধা মৃত্যুর এতটুকু ভয়ে
আজ ভীত সন্ত্রস্ত একোন আমাকে আমি দেখছি- দু’নয়নে!
তার জবাব যে কিছুই না পাই খুঁজে, বিপন্ন এই ক্ষনে
এ কিসের আতংক ঘিরে আমায় খুন করছে তীলে- তীলে?
নেই কি কোন আদালত এমন খুনির বিচারকার্যে?
মৃত্যুপুরির লাশের পাহাড় গড়ার নেশায় মেতে মেতে
এনিষ্ঠুর লাশ লাশ খেলার চির অবসান হবেকি এ-
-ধরাতে?
রওশন চৌধুরী – কবি,সাহিত্যিকও এডমিন চেতনায় সাহিত্য।