যদি হতাম গাঁয়ের বধূ থেকে যেতাম গাঁয়েই শুধু
চোখের কোনে কাজল টেনে মায়াবী করে মুখ
দুখের গল্প ঢেকে দিতাম করে সুখের যাদু।
সকাল হলে পান্তা ভাতে লবন মরিচ মেখে
খেয়ে নিতাম,সব কোলাহল ছেড়ে যেতাম
শান্তি পেতাম দু’চোখ ভরে সবুজ গ্রাম দেখে।
মাটির পিড়ায় বাঁধানো সেই ছোট্ট কুড়েঘরে
রাতের বেলা পিদিম জ্বেলে নকশি কাঁথায় ফুল তুলে
খুব সুখেতে দিন কাটাতাম রোদ,বৃষ্টি, ঝড়ে।
কলা গাছের ভেলায় চরে শাপলা তুলতে যেতাম
সন্ধ্যা হলে ঘরে ফিরে,চুলের খোপায় শাপলা ফুলে
ভাঙা আয়নায় যত্ন করে সাজিয়ে শুধু নিতাম।
আলতা রাঙা পায়ে নিতাম রুপার নুপুর পরে
গলায় পরতাম দানাপুচি নাকে দিতাম মিনা
অভাব যতই থাকুক তবু শান্তি থাকতো ঘরে।
আসতে যদি তোমরা কেউ আমার আঙিনায়
চুরি হাতে মুড়ি ভেজে খেতে দিতাম সকাল সাঁঝে
শুতে দিতাম শিতল পাটির শিতল করা গায়।
মাহাফুজা শিরিন – কবি, সাহিত্যিক ও এডমিন চেতনায় সাহিত্য।