মমতায় ঘেরা প্রান্তর মায়ার আস্তরণ
লুটিয়ে পড়ছে আকাশে দরদের ছায়া।
সবুজ অবনি হাতছানি দিয়ে ডাকে
পাখির কণ্ঠে কি যে অপূর্ব মায়া।
গভীর জলধারা নিস্তব্ধ কখনো স্বচ্ছ
পাহাড় মিশেছে ঐ নীলিমার ঈশাণে।
সবুজের বুক চিরে মেঠো পথ লোকালয়
কখনো সবুজ কখনো লাল মেখেছে নিশানে।
মায়ের আঁচলে লুকানো মুখ কখনো অন্ধকার
কখনো সোনালী বেগুনি রঙে সেজেছে ধরা।
পল্লী বধূর লাজুক মুখ,কখনো লজ্জার মিছিল
টেংরা, পুঁটি বোয়ালের গন্ধে নিখুঁত গড়া।
সিল্ক বা মসলিনের জালে লুকানো যৌবন
অপার বন্ধনে পরেছে রঙিন বেশ।
লালন, পল্লীগীতি আর ভাওয়াইয়া গানে
বেঁধেছে আমায় চির সবুজ এ দেশ।
উৎপল তরঙ্গের মত ছলাৎ ছলাৎ ঢেউ
মাঝির গোলই খুঁজে নদীর ঘাট
শাপলা,শালুক পদ্ম লুকোচুরি করে জলে
অসীম কোমলতা আজ বেঁধেছে গাট।
সবুজ ধান, সবুজ পাট সবুজের হৈচৈ
সবুজের মাঝে হারিয়ে যায় নয়ন।
নুয়ে পড়ে সবুজের সমারোহ সবুজের দোলা
সবুজ ঘাসের বুকে চলা সেখানেই শয়ন।
আমি অসীমের পানে সবুজ চাই
সবুজের মাঝে চাই সোনালী দেশ।
যত দূরেই ঘুরে বেড়াই আমি
তোমার কাছেই মিশে যায় হে বাংলাদেশ।
আব্দুল মতিন – সম্পাদক চেতনা বিডি ডটকম।