আমার মনের মধ্যে
মনের মতো করে এক মানবীর
মায়া মাখা মুখখানি আঁকা।
মুখটি তার সোনালী হলুদ
রূপটি তার মসৃন ও মলিন
কালো চুল গুলো বাঁকা বাঁকা।
আমার মাঝে এক সরিষা পরী
অঙ্গে মাখা যার গোলাপি শাড়ী।
সাঁঝের বেলায় জোনাক সারি
মধ্যে নিশিতে যায় জোৎস্নাবাড়ি।
অমানিশীতে সে এক মায়াবী নারী
যার মাঝে আমি দেই স্বপ্ন পাড়ি!
আমার মাঝে এক রাতের পাখি
জোৎস্নার আলোতে মেলে আঁখি।
অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়েই থাকি
সাঁঝের পরে বুকল তলে
আমি তার অপলক চোখে
চোখ রেখে তাকে দেখি!
কি মায়া মাখা মুখখানি
চোখ দু’খানাতে যেন হরিণী
শাড়ীর আচল তলে।
পড়ে থাকা বুকল ফুলে
আমি হারিয়ে যাই
নিস্তব্ধ নির্বাক হয়ে তাকিয়ে রই
আর মনের দোলনায় দোলি!
আমার প্রার্থনা আমার নিশিতে
জোৎস্নায় স্নিগ্ধ সে মানবীর স্পষ্টতা।
গোলাপি শাড়ি হলুদ সরিষা কিংবা
এলোমেলো খোলা চুলের মুগ্ধতা।
ঘুমহীন রজনীর যে স্বপ্নটুকু
সবটুকুই যেন আমরন অস্পষ্টই থাকে!
পারুল বেগম – কবিও সাহিত্যিক।