গ্রামের পাশে নদী নদীর পাশে মাঠ
সেই মাঠে ছিলো আঁকাবাঁকা পথ ঘাট।
সরষে ক্ষেতের আলে দুজন হাঁটাহাঁটি
প্রজাপতি ধরতে করেছি ছোটাছুটি।
মাঝেমাঝে হোঁচট খেয়ে পড়ে গেছি
দুজনে সরষে ফুলের মালা গড়েছি।
তোমার গলায় তুলে দিতে দুহাতে
তুমিতো লজ্জাবতীর মতো জড়াতে।
আমিও তখন ছিলাম নাছোড়বান্দা
তোমাকে খুশি করতে করতাম ধান্দা।
তুমি দৌড়ে পালাতে ঐ নদীর ধারে
নুপুর পায়ে রঙিন শাড়ির শতো বাহারে।
কাগজের তৈরী নৌকা ভাসাতে স্রোতে
তালপাতার ঘুড়ি বাতাসে উড়াতে।
পিছন হতে আমি তোমার দুচোখ ধরে
আদর স্নেহে তোমাকে দিতাম ভরে।
দেখে কানাকানি করতো পাড়ার লোক
দুষ্ট ছেলেরা আনন্দে আওড়াত শ্লোক।
ভোর বেলাতে তুমি এসে বকুলতলায়
ঝরা ফুল তুলে নিতে তোমার থালায়।
বাড়ি ফিরে গিয়ে গাঁথতে দুটো মালা
একটা দিতে তোমার খোপায় ঝুলিয়ে
অপরটা তোমার দুই হাতে দুলিয়ে দুলিয়ে
তুমি খুঁজতে আমায় হন্যে হয়ে গ্রামে গ্রামে
আমিও ছুটছিলাম শালুক তোলার নামে।
শালুক হাতে পৌঁছি তোমাদের আঙ্গিনায়
তোমার দাদু লাঠি হাতে প্রশ্ন করে আমায়।
কি চায় কাকে চায় এই সময এই ছোকরা
লাঠিসোটা হাতে তাড়ায় দাদার লোকরা।
সেই তুমি আজ আমার সন্তানের জননী
আমি স্বামী আর তুমি প্রিয়তম অর্ধাঙ্গিনী।
সরদার মুক্তার আলী- কবি ও সংগঠক।