একদিন, বৃষ্টি শেষে,হালকা মেঘের পাশ কেটে,
লাল লাল সূর্য রশ্মি আসবে,পড়বে লুটে,
আমার বাতায়নের পূর্ব পাশে,
বলবে সে ভালোবাসে!!!
ভালোবাসে বেসুরো কবিতার লাইন,নেই মিল ছন্দ,
কোন লয় নেই,নেই ঠিক মাত্রা,তাতে নেই দ্বন্দ্ব।
সে পুরো দুনিয়া কবিতা র বোঝা নিয়ে করবে যাত্রা।
পৌঁছে দিবে ঘরে ঘরে এই কবিতার বার্তা।
হিরোশিমা, নাগাসাকির ধ্বংস স্তুপ থেকে,
উঠে আসবে,দাঁড়াবে সে রুখে।
সে ট্রয়ের কাঠের ঘোড়ার নিচে যদি হয় পিষ্ট,
যদি বিন্দু মাত্র শক্তি থাকে অবশিস্ট,
তবে সে আসবেই,ধুমকেতুর সাজে,
সেদিন দেখব রণভেরি বাজে,
হয়তো সে করবে না কোন যুদ্ধ, অকারণে,
নিজেকে রাখবে ঢেকে ভদ্রতার আবরণে।
হাড়াবে না, মানুষ, জন্তুজানোয়ার, গাড়ি বাড়ি ,
থাকবে শান্তিতে, পথ শিশু অবহেলিত নারী।
সে অচিরেই আসবে বাংলার বুকে,
মরবে না মানুষ দূর্নীতিতে ধুঁকে,,
থাকবেনা আর কোন মানুষ অনাহারে,,
সজ্জিত হবে জীবন কতো না রঙিন বাহারে।
তাকে দেখে আমার হৃদয় হবে পুলকিত,
তাকিয়ে থাকি আমি অবিরত,
সে মাথা উঁচু করে, হুংকার দিয়ে,
বাংলার ঘরে আসবে শান্তি নিয়ে।
আমি যে তারে বড্ড ভালোবাসি,সে যে মন জুড়ে,
তারে বিহনে,হৃদয় গহিনে,চিতার আগুন জলে।
বাতায়ন খুলে চেয়ে থাকি বসে,দু-হাত বাড়িয়ে,
সে আসলে,দু’হাতে নেব বুকে জড়িয়ে,
শরিফা খাতুন – কবি, নাটোর।