আর্বিভাব- এক–
আজকাল রেহনুমা কেমন আঁতকে উঠে–
নিজেই নিজেকে দেখে,,,
আবছায়া আলোতে কার যেন একটি ছায়া!
প্রায় এমন হচ্ছে।
কিছুতেই সেই ছায়া মন থেকে সরাতে পারছে না”
একা একা থাকা’টা ও একটা আতঙ্কের!
সারাক্ষন এই ভাবনায় রেহনুমা তলিয়ে যাচ্ছে,,
মাথা থেকে এই ছায়া’টি সরিয়ে ফেলতে পারছে না।
অনেক আগের সময়ে—-
সম্ভবত ঐ সূত্রঃ ধরে এগুলেই রেহনুমা ঠিক খোঁজে পাবে ইদানিংকার ঘটনার মিল!!
তার এ সব কেন হচ্ছে।
কি আছে এই ছায়ার মাঝে!
কেন বার বার রেহনুমা আঁতকে উঠে?
আজকাল কোন কাজ ই রেহনুমা ঠিক মত করতে পারছেনা
কখনো কখনো একটা ভয় এসে মনের মধ্যে হানা দেয়
কোন একটা কাজ যদি ঠিক মত করতে পারে
সেটাও হয়ে উঠে না।
ইদানিং কাজ গুলো বেশ ওলট পালট হয়ে যাচ্ছে
কোনো কাজেই মন বসাতে পারছে না,,
কি হয়েছে রেহনুমার?
আজকাল, রান্নায় ও কিছু’টা অমনোযোগী,
কি করতে কি করে ফেলে__
ভাবে এক হয় আরেক!
সেদিনের একটি ঘটনার কথা রেহনুমার মনে হলে আজও ভীষণ হাসি পায়।
অমনোযোগের কারণ সেখানেই!
কিচেনে ডুকে মাথা একেবারেই বিগড়ে যায়
সমস্ত কাজের এলোমেলো——–মনের রাগ আরো চার ডিগ্রী বেড়ে যায়।
সমস্ত রাগ ক্ষোভ যেন কাছের মানুষ গুলোর উপড় গিয়ে পড়ে।
শুধু কাজ আর কাজ!
কর্তব্য আর দ্বায়িত্ব পালনে রেহনুমা একেবারেই হিমশিম খাচ্ছে,
খুবই বিরক্তিকর!
যেন কত কত রাজ্যের ব্যস্ততা
সব সামলে নিতে আর পারছে না রেহনুমা!!
সেদিন—–
কিচেনে এতটাই অসহ্য লাগছিল
সেদিন “রেহনুমার মনটা” ছিল অন্য মনঙ্ক!
রান্নার ম্যানুতে খুব একটা আয়োজন ছিলনা।
কিন্ত এতটা অমনোযোগী থাকার কারণ অবশ্য আছে।
মানুষের মন কত বিচিত্র!
ভাবনার বিষয় গুলো অনেক রকম হয়ে থাকে—–
একেক জনের একেক রকম হয়,,,
রেহনুমা অনেকটাই চাপা স্বভাবের!
নীরবেই জেদ’টা চেপে রাখে,,
কাউকে কিছু বলবে না—নিজেই একা কষ্ট পাবে।
আগে কখনো একা থাকতে পারতো না।
হই হুল্লরে সময় গুলো পেরিয়ে যেত
আজকাল আর তা হচ্ছে না,,
কত পছন্দের সময় গুলো ছিল রেহনুমার
তবে এ বিষয় গুলো এখন আর এগিয়ে নিতে চাইছে না রেহনুমা।
তার কাছের মানুষ গুলো ইদানিং সরে যাচ্ছে!
আবার ঠিক মনে হচ্ছে রেহনুমা” নিজেই নিজেকে সরিয়ে নিচ্ছে।
আজ আবার রেহনুমা তার ব্যাক্তিগত খাতাটি নিয়ে বসেছে।
সমস্ত লেখা গুলো যেন প্রতিবাদী হয়ে বেরিয়ে আসতে চাইছে!
যতই রেহনুমা চেপে রাখতে চায় কিছুতেই যেন পারছে না।
কোনো না কোনো ভাবে প্রতিবাদী হয়ে উঠে।
আর কষ্ট পেতে চায় না!
আজো কেউ আসে নি একটি সুপারিশ করতে
এবার মেয়েটাকে ছেড়ে দাও—–
তোমরা আর জ্বালিও না
ও একটু বেঁচে উঠুক
আর কত মেয়ে’টার কাছ থেকে আরাম নেবে?
ও’কেও একটু আরাম দাও।
মেয়ে’টার ও তো তার জন্মগত অধিকার নিয়ে স্বাধীন ভাবে বেঁচে থাকার ইচ্ছে আছে
ওকে রেহাই দাও।
রেহনুমা বেঁচে আছে এই কোন রকম!
তবে আগের মত নেই—-
কিছু মানুষের জন্য যেন বেঁচে থাকা;
কোন ইচ্ছে কোন স্বাধ- এর ধার আর ধারেনা
কাজে ডুবে থাকে যতক্ষন ভাল লাগে।
অবশ্য বিরক্তটাই আজকাল বেশী আসে__
জীবনের প্রতিটি ধাপের অনেক’টাই পাড় করে এসেছে,,,
চলবে—-
মিতা- কবি, সাহিত্যিক ও সংগঠক।