Take a fresh look at your lifestyle.

নিক্তি-এক

494

 

 

গত মাসের শেষ শুক্রবার কবির মিয়া ফালু ঘটককে পুরো দুই হাজার টাকা দিয়েছে। একটা একশত টাকার নোট চেঞ্জ করে নিয়েও গেছে একটু ছেড়া বলে।
ঘটককে মানুষ কেন টাকা দেয় তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। কবির মিয়ার এক বোন আছে আলেয়া, সবাই আলো বলেই ডাকে। আলোর বয়স সতেরো বছর এগারো মাস এগারো দিন।কবির মিয়া আলোর বিয়ে দিতে চাই কারন দুটি, একটি হলো তার শিক্ষার কমতি আর অপরটি হলো আলো দেখতে আলোর মত। অদৃশ্য এক ভীতি কাজ করত কবিরের। আলো রূপে, গুণে, কর্মতৎপরতায় অনন্য।কিছুটা পাতলা স্বভাবের উচ্চতা পাঁচ ফুট সাত ইঞ্চি, বড় জোর এক ইঞ্চি কম-বেশি হতে পারে।
আলো ঠিকই লাইটের মত কিরণ দেয় বাড়ি আর মহল্লায়।
এমন গুণবতীর বিয়ে বড় পরিবারে প্রত্যাশা করা দোষের নয়।
নয় দিন একটানা অনুসন্ধান করে ফালু কবির মিয়ার কাছে এলো।
সোনাই মুড়ি চেয়ারম্যানের ছেলে সোনা গাজি আলোর জুতসই পাত্র।
উভয় পক্ষের দস্তুর আলোচনার মধ্য দিয়ে সোনাগাজী আর আলোর বিবাহের দিন ধার্য হলো। আরো ধার্য হলো আলোর বিবাহ অনুষ্ঠানে পাকা পাঁচ ভরি স্বর্ন অলংকার দিতে হবে কবির মিয়াকে।….. চলবে

আব্দুল মতিন- সম্পাদক,চেতনা সাহিত্য বিডি ডটকম 

Leave A Reply

Your email address will not be published.