কল্পনা ও আবিরের নবীন সম্পর্ক প্রদ্বীপ্ত হতে লাগল।
মনোয়ারা বেগমের এক দিনও কল্পনাকে ছাড়া চলেনা।
আবির পুরো কন্ঠ শিল্পী – সবাই বলে কল্পনা খুব লক্ষ্মী মেয়ে। সকাল, সাঝে কল্পনার চা ছাড়া স্বামী ও শ্বাশুড়ির চলেই না।খাবার প্রস্তুত করে স্বামীকে ডাকা,শরীরে তেল মালিশ,রাতে ঘুম পাড়ানো সবই কল্পনার কাছে স্বাভাবিক।
মাঝে মাঝে শেষ রাতে ঘুম থেকে উঠে কল্পনা, ফ্রেস হয়, নফল সালাত আদায় করে।স্বামী সংসারের জন্য দোয়া করে, এর পর আবিরকে ডাকে!
– ওগো! ফজরের আজান হলো বলে।
উঠ না,প্লিজ! সালাতের ওয়াক্ত শুরু হলে ঘুমালে গৃহের অকল্যান হয়। পরিবারে একদম দায়িত্ব শীলা কল্পনা। উঠতে বসতে, খেতে শুধুই কল্পনার প্রশংসা শ্বাশুড়ি মনোয়ারা বেগমের।
আবিরের নতুন ভিজ্যুয়াল সেন্টার উদ্বোধন। ১০০ বেশি মেহমান, সবাই অকপটে জানিয়ে দিল আবিরের এই কৃত্বিতের পিছনে কল্পনা। কল্পনার স্পর্শ ছাড়া আবির প্রতিষ্ঠিত হতে পারত না। কিছুটা পেজস্টিজে লাগে আবিরের, আমার কোন সফলতা নেই? সবই কেবল কল্পনা?
মা মনোয়ারার মন আজ খুব ভাল, আবিরের বিয়ের পর থেকে এমলোডিপিন বা এটোরভাস্টাটিন খেতে হয়না।
মনোয়ারার হার্ড যথেষ্ট ভাল।
মনের অজান্তেই আবিরকে তার মা বলল, আমার এ সুস্বাস্থ্যের কারনটা কল্পনা। আবির মানষিক ভাবে বিদ্ধস্ত হচ্ছে, কারণ সকল সফলতা কেবল কল্পনা।
এখন মাঝে মাঝে আবির সিগারেট পান করে।বাইরে বেশি সময় দেয়,প্রকৃতি বা সমাজ ব্যবস্থায় সবাই যেমন আবিরের পরিবর্তন খুবই স্পর্শকাতর।এখন রাতে মনে হয় কল্পনা কে এভইড করলেই তার ভাল। অদৃশ্য এক যন্ত্রনা কষ্ট দিচ্ছে আবিরকে।
আব্দুল মতিন –
সম্পাদক, চেতনাবিডি ডটকম