হঠাৎ এ ফোন পেয়ে কিছুটা আপ্লূত হলাম। ট্রেন টঙ্গী আর এয়ারপোর্টের মাঝখানে। জীবনের বিরামহীন গতি কত পথ সৃষ্টি করে তাই ইয়ত্তা নেই।
পতেঙ্গা থেকে বড় ভাইয়ের আবার ফোন এলো।
ভাইয়ের সাথে ছয় ঘন্টা জার্নির সামারি বললাম, উনে অল্প দিন পরে পতেঙ্গা ত্যাগ করবে আর আমার কলেজ বিধায় গাজীপুরে যাবার ইচ্ছে বাতিল করলাম।
ট্রেনের গতি কম, পাঁচ মিনিট পরে কমলাপুর রেলস্টেশনে পৌঁছে যাব।
মায়ার টানে মায়াকে ফোন করলাম।
মায়ার ফোনে এবারও অন্য কারো কণ্ঠ –
-মায়া মারা গেছে ভাই!
এত ভোরে কিভাবে এমন হলো?
– একটা ট্রাক চাপা দিয়েছে উনাকে।
ক্ষনিকের জন্য অন্য জগতে হারিয়ে গেলাম।
বারবার মনে পড়ছিল মায়াকে, মায়া তো নয় যেন মায়া হরিণ।
ডাক্তারনীর মেধা,
সামাজিক অবস্থা,
বিচক্ষণতা,
অমায়িক ব্যবহার আর সাহিত্য অনুরাগ আমার হৃদয়ে নিরব শিহরণ অনুভব করলাম।
সামনে ক দিন পরেই মায়ার বিয়ে, কাজলের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা সত্যিই সব এলোমেলো হয়ে গেল । কমলাপুর রেলস্টেশনে দাঁড়িয়েছিলাম, আজ নিজেকে বাউল বাউল লাগছিল।
শত ভীড়ে কার কতোকি হারালো, কিন্তু আমি পতেঙ্গা গেলাম আবার এলাম মায়ার স্মৃতি আর কথাগুলো হারালো না।
মায়ার মতো কত জন এ সড়ক দুর্ঘটনায় হারিয়ে যাচ্ছে তার হিসেব নেই।
মায়ার সাথে ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠেনি কিন্তু ভুলতে পারিনি আজও।
আব্দুল মতিন-সম্পাদক,চেতনা বিডি ডটকম