রাসুল (সাঃ) জন্মের আগের অন্ধকার যুগকে আইয়ামে জাহেলিয়াতের যুগ বলা হয়। সারা আরব দেশের মানুষের মধ্যে তখন গোমরাহি বিরাজ করত।
সে যুগে সভ্যতা ঈমানদারী একা নিভৃতে কেঁদে বেড়াত। চারিদিকে শিরক, অন্যায়, অবিচার, হত্যা, যুদ্ধ বিগ্রহ ইত্যাদির সমারোহ ছিল। ছিল শিরকের বিশ্বজনীন ব্যধি। ছিল ভ্রান্ত জাতিভেদের ফেতনা। বানানো ধর্মীয় ও সামাজিক রীতি-নীতিই সেখানে চলত। ছিল হাজারো মুর্তি -প্রতিমা। চলত
মুর্তি পূজা, ঘুড়ি পূজা, সূর্য পূজা, অগ্নি পূজা। তাদের মধ্যে ভাগ্যের দোহাই ছিল এবং তা কিছু মানুষের জন্য খারাপ পরিনতি নিয়ে আসত।
তৎকালীন আরবে পতিতাবৃত্তিও বাদ পড়েনি। দেব মন্দিরে হতো ভাগ্য গননা। ছিল তালাকের পর তালাক দেওয়া স্বামী স্ত্রীকে বার বার গ্রহন করার নিয়ম। চলতো এতিমদের উপর অন্যায় অত্যাচার। তাদের প্রাপ্য ধন সম্পত্তি থেকে তাকে বঞ্চিত করা হতো। সে যুগে কখনো কন্যা সন্তানদের জীবিত কবর দেওয়া হতো। কখনো নারী শিশুদের উত্তরাধিকার হতে বঞ্চিত করা হতো। একে অপরকে হত্যা করত এবং তার প্রতিশোধ চলতো একের পর এক হত্যা দিয়ে।
সেই সময়ে আরব দেশে মুষ্টিমেয় লোক বাস করতেন যারা এক আল্লাহর একত্ববাদে বিশ্বাসী ছিলেন। তারা হানিফ নামে পরিচিত ছিলেন।
নিরীহ আরব বাসী সব সময় চিন্তিত থাকতো কখন কোন লুন্ঠনকারী দল এসে হঠাত আক্রমন করে বসে। মোট কথা আরবের অবস্থা এমন ছিল যে , গোটা দেশে এমন কোন জনপদ ছিল না যারা শান্তিতে থাকত।
এই অন্ধকারের পর্দা সরিয়ে দিয়ে এক মহা আলোকের আবির্ভাবের বড় প্রয়োজন হয়েছিল। তাইতো মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তার সেরা বিচক্ষনতা দিয়ে এক মহান উদ্দেশ্যে এই পৃথিবীর বুকে তার সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ মাখলুকাত শ্রেষ্ঠ মানুষ আমাদের নবী (সাঃ) কে প্রেরণ করেন। আবির্ভাব হয় এক মহা আলোক সত্তার, যার পবিত্র আলোতে সারা পৃথিবী মাতোয়ারা।
দিল আফরোজ রিমা- কবি ও সাহিত্যিক।