:এবার বুঝি রিপনের শেষরক্ষা হলো। সত্য চিরন্তনই সত্য।
হয়তো এর ফল কখনও বা একটু ধীরে প্রকাশিত হয়, তাতে কি? চাপা তো থাকেনা।
বিষ্ণুপুর গ্রামের গরীব কৃষকের একমাত্র সন্তান রিপন।
মা মরা ছেলে। বাবার আদরে তার বেড়ে ওঠা।
বাবার প্রকৃত উত্তরশূরী।
সৎ বলিষ্ট ন্যায়পরায়ন ঠিক যেন বাবার মতো।
নিজের জমি বলতে একেবারেই সামান্য অন্যের জমিতে ক্ষেটে তাদের চলে সংসার।
নিজে সারাদিন কাজ করে আবার বাবুর পছন্দমত রান্না করে খাইয়ে দেয়।
কোন কাজে তাকে হাত দিতে দেয় না, পাছে পড়াশুনার ক্ষতি হয়।
রিপন খুব মেধাবী। প্রতিদিনের পড়া প্রতিদিন শেষ করে রাখে বরং সামনের অধ্যায়টাও যত্ন করে আয়ত্ব করে রাখে। কোন শিক্ষক কখন ও ক্লাসে তাকে পড়া ধরে বাধাতে পারে না অথচ ক্লাসে কখন ও সে ফার্স্ট হতে পারেনা।
ফার্স্ট হয় গ্রামের মোড়লের ছেলে প্রীতম। মেধায় সে রিপনের ধারে কাছেও আসতে পারবে না তবুও ফার্স্ট হয় আর হবে নায় বা কেন মোড়লের ছেলে বলে কথা। পরীক্ষার আগের রাতেই সকল প্রশ্ন যত্ন করে দিয়ে আসে মোড়লের বাড়ি।
তার জন্য শিক্ষকেরা উপযুক্ত প্রণামীও পায় এ সুযোগ কি কেউ ছাড়তে চায় উপরি টাকা বলে কথা।
এদিকে রিপনের রাতে পড়ার জন্য কেরোসিনের তেলটুকুও ঠিকমত জোটেনা। বিদ্যুৎ তো দূরের কথা। মাঝে মাঝে রিপনের বাবা আধাপেট খেয়ে সেই টাকা বাঁচিয়ে রিপনের জন্য খাতা কলম কিনে আনে।
আজ রিপন হাতে মার্কশিট পেয়ে কান্না করতে করতে বাড়ি এলো। বাবা রিপন কি হয়েছে? কাঁদছিস কেন? জিজ্ঞেস করলো তার বাবা।চলবে…….
রাজিয়া সুলতানা- কবি, সাহিত্যিক ও সহসম্পাদক চেতনা বিডি ডট কম