বিষণ্ণ বিকেলের হাত ধরে প্রতিদিন ফিরে আসা এই তুলসী বেদীতে
সন্ধ্যাবাতির ম্লান আলোয় স্মৃতির বুকে ঝাপসা চোখে ছুড়ি চালিয়ে
এক্কাদোক্কা স্বপ্নের গায়ে জমে থাকা পচন রসের প্রলেপ সরিয়ে
আনন্দ মিছিল ভেবে শ্মশানে শব মেলায় পা রেখেছি।
আজ আমি শ্মশানচারিণী হয়ে কাটাছেঁড়া স্বপ্নদহণ করে চলি।
শেষ বসন্তের দোল পূর্ণিমার আলো-আঁধারী রাতের ভেলায় চড়ে
নীলাভ স্বপ্ন শওদা করি সেঁউতি ফুলের মালা জলে ভাসিয়ে,
আর বাহারী স্বপ্নেরদল সমুদ্রের বেলাভূমিতে শানবাঁধানো ঘাটে
বুকে হাতবাঁধা যুবকের মত নির্বাক স্বপ্ন শোষণ হতে দেখে।
পায়ের নীচের বালু কত চমৎকার সরে সরে যায় মসৃণ অনুভবে।
বুকের পাঁজরের পরতে পরতে একটা একটা করে স্মৃতির পাতা সরিয়ে
প্রতিদিন কাজল ধোয়া চোখে হারিয়ে যাওয়া সেই ঠিকানা খুঁজি,
নিস্তব্ধ প্রহরে মৌনতার মিছিলে পাঁশুটে স্মৃতি গুলো শ্লোগান দিয়ে
বাসি ফুলের ম্লান সুবাস বুকে খাঁচায় গন্ধ ছড়িয়ে মনে করে দেয়
ধুলোয় লুটানো পুষ্পের দল কখনো পূজার অর্ঘ নয়।
মঞ্জিলা শরীফ – কবি