পূর্নিমা কি হয়ে গেছে? না কি সামনে হবে? কেউ জানেন? প্রতিদিন এমন পাগল করা জোছনা নিয়ে চাঁদ আসছে। ছোটবেলায় আমার দাদি বাড়িতে কিংবা নানি বাড়িতে এমন রাতগুলোয় দেখতাম, উঠোনে মাদুর পেতে সবাই বসে গল্প করছে।একটু বয়স্ক পুরুষেরা চেয়ার পেতে গল্পে মশগুল। আমার দাদি বাড়ির কোলঘেষে নাগর নদী চলে গেছে।উঠোনে বড়দের কোলের মাঝে বসে খুব জোছনার রাতগুলোয় দূরে ২/১ টি নৌকার মিটিমিটি করে জ্বলে থাকা কেরোসিনের বাতি দেখে জোনাকি পোকা ভেবে ভুল করতাম। আহা, ছেলেবেলার সেই জোছনাময় মায়াবী রাতগুলো,মায়াবী মানুষগুলোর কোল ঘেষে বসে গল্প শুনতে খুব ইচ্ছে করে।চোখ ভিজে যায় অকারণে মায়ার মানুষগুলোর জন্য।আমার চোখে খুব সমস্যা।মায়ার মানুষগুলোর কথা মনে পড়লেই চোখ ভিজে যায়।তারা এখন কোথায় আছেন??
অপার্থিব জগতেও কি এমন জোছনা নিয়ে চাঁদ ওঠে।সেখানেও কি তারা মাদুর পেতে খোলা আকাশের নিচে গল্প জুড়ে দেন??
জোছনা মাঝে মাঝে অকারণে মন খারাপ করিয়ে দেয়।
মনকে তরল করে দেয়।মনকে জোছনার আলো আবেগি করে দেয়।যেখানে থাকুক মায়ার মানুষগুলো, তারা যেনো ভালো থাকেন।
“আমার ভাঙা ঘরে, ভাঙা চালা,ভাঙা বেড়ার ফাঁকে,
অবাক জোছনা চাইয়া থাকে, হাত বাড়াইয়া ডাকে…”
সেলিনা রহমান শেলী- কবি,সাহিত্যিক ও গল্পাকার।