তখন আমি পঞ্চম শ্রেণীর শেষ করেছি। ষষ্ঠ ভর্তির মহাউৎসব শুরু হলো। সাথে মামা ছিল, জানুয়ারি ২ তারিখ বোধহয়। সকাল থেকে প্রস্তুতি নিয়ে মামার মোটর বাইকে উঠে বসলাম। বাসা থেকে মাত্র তিন কিলোমিটার দূরে- শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মাধ্যমিক জীবনের প্রথম দিন। ভর্তি এবং ক্লাস দুটো একসাথে মনের মধ্যে কতো যে কৌতূহল তা বলে বোঝানোর মতো নয়। কেমন হবে শিক্ষক, বন্ধুই বা কেমন হবে!
স্কুল জীবনের কত কথা স্মৃতি মন্থন হয়ে আছে তার ইয়ত্তা নেই।
ষষ্ঠ শ্রেণিতে রহিদুলের হাতের মার খেয়েছি দস্তুরমত। কারণ, পরীক্ষায় প্রশ্নের উত্তর দেখায়নি তাই।
সপ্তম শ্রেণীতে ফুটবল প্রতিযোগীতায় হাত ভাঙ্গার কথা এখন ইতিহাস।
অষ্টম শ্রেণির বৃত্তি পরীক্ষার কোচিং পরীক্ষায় আমার জ্যামিতি বক্স শরিফুন ব্যবহার করে , তার মধ্যে নকল রেখেছে মরহুম শাহাদাৎ স্যারের কাছে অভিযোগ করেছিল।
স্যার খুব মেরেও ছিল।
নবম- দশম শ্রেণিতে ভীড় করা কত ঘটনা তার কিঞ্চিৎ একাদশ শ্রেণির আমার ছাত্র- ছাত্রীদের বললে, কখনো হাসে / কখনো চোখ মুছে আবার কখনো অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে।
যাইহোক,
১৯৯৫ সন অনেক রিলাক্স মুডে কেটেছে প্রাথমিক লেভেল। শিক্ষকদের নিবিড় তত্ত্বাবধান, আন্তরিকতা স্নেহ মাখা শাসন এবং দিকনির্দেশনা এখনো হৃদয় ব্যাকুলতায় ভরিয়ে দেয়। আব্দুর রাজ্জাক, আব্দুর রশিদ, গোলাম মোস্তফা এবং আশেক আলী স্যারের সাথে দেখা হলে মোটর সাইকেল চালিয়ে যেতে সংকোচ লাগে।
আমি ষষ্ঠ শ্রেণির প্রথম ক্লাসে কুইজ প্রতিযোগীতায় প্রথম হয়েছিলাম। তবে ২৫ টি কুইজের একটি প্রশ্নের উত্তর দিতে পারিনি!
প্রশ্নটি ছিল –
★ বিধবা বোনের স্বামী আবার বিয়ে করতে পারবে না কেন?
জীবনের এই মাঝ পথে সেই দিন আজও অম্লান হয়ে আছে স্মৃতির মিনারে।
আব্দুল মতিন- সম্পাদক চেতনা বিডি ডটকম।