পাঠ প্রতিক্রিয়া
বইয়ের নামঃ রহস্যময় ব্ল্যাক হোল
লেখকঃ মুহাম্মদ জাফর ইকবাল
প্রচ্ছদঃ মুহাম্মদ জাফর ইকবাল
প্রকাশকঃ কাকলী প্রকাশনী
মূল্যঃ ২০০/-
পৃষ্ঠাঃ ৯৫
ব্ল্যাক হোলের নাম শোনেনি এমন মানুষ মনে হয় পৃথিবীতে আজ কাল আর খুঁজেও পাওয়া যাবে না।
পদার্থ বিজ্ঞানের অত্যন্ত বিচিত্র একটি বিষয় পৃথিবীর প্রায় মানুষ জেনে গেছে। এটি নিঃসন্দেহে খুবই অবাক করার একটি ব্যাপার।
অপর পক্ষে একটু চিন্তা করলেই বোঝা যাবে এটি কিন্তু খুব অস্বাভাবিক ঘটনা নয়।
ব্ল্যাক হোল বিষয়টি এতটা অবিশ্বাস্য যে, সেটি নিয়ে পৃথিবীর মানুষের কৌতূহল থাকতেই পারে।
ব্ল্যাকহোল সম্ভবত পদার্থ বিজ্ঞানের সবচেয়ে রহস্যময় একটা বিষয়।
এমন একটা সময় এর রহস্য উন্মোচিত হয়েছে যখন আমরা তা দেখতে পাচ্ছি।
ইতিপূর্বে এ নিয়ে অনেক বিতর্ক ও সন্দেহ ছিল।
এখন ব্ল্যাকহোলের বিতর্ক বা সন্দেহ শুধু দূর হয়েছে এমন নয় বরং বিজ্ঞানীরা পৃথিবীতে বসে 53 মিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরের ব্ল্যাক হোলের সরাসরি ছবি তুলেছেন।
বিজ্ঞানের এ গ্রন্থের উন্মেষ সাধিত হয়েছে জাফর ইকবাল স্যারের বইয়ে।
আমরা ব্ল্যাক হোলের সব রহস্যের সমাধান এখনো খুঁজে পাইনি।
হয়তো অতিশীঘ্রই এটি আমাদের কাছে পরিস্কার হয়ে যাবে।
আলোর বেগ তো ধ্রুব, সব জায়গায় সেকেন্ডে ৩০০০০০ কিলোমিটার।
এটি কম বেশি হয় না।
এবার চিন্তা করা যায় – মহাকর্ষ বল কেমন করে সেটাকে পরিবর্তন করে থামিয়ে রাখবে?
নিউটনের মহাকর্ষ বলের সূত্রে বলেছেন যে, ভর যত বেশি হবে তার মহাকর্ষ বল হবে তত বেশি।
চিত্র অংকিত করে, হিসাব করে লেখক এ বিষয়ে সুস্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছেন ব্ল্যাকহোল মহা বিশ্বের এক বিস্ময়কর সৃষ্টি।
বইটি আধুনিক চিন্তাশীল লেখক ও পাঠক মনে দাগ কাটবে এটি আশা নয় বিশ্বাস করি।
আব্দুল মতিন- সম্পাদক, চেতনা বিডি ডটকম।