গত পর্ব শেষ করেছিলাম স্কীন ক্যান্সার থেকে রক্ষা পেতে আমাদের কি করতে হবে এর প্রথম অংশ, আজ এর অবশিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ অংশটি আলোচনা এবং অন্য একটি ক্যান্সারের কারণ ও লক্ষন নিয়ে আলোচনা করা হবেঃ
দ্বিতীয়তঃ সান প্রটেকশন লোশন ব্যাবহারঃ আমরা অনেকেই জানিনা সান প্রটেকশন ফেক্টর সম্বন্ধে। এটি হচ্ছে সানস্ক্রিন লোশনের এমন একটি ক্ষমতা যা রোদে পোড়ার (Sunburn) কারনে সৃষ্ট আল্ট্রা ভাইওলেট বি রশ্মিকে ব্লক করতে পারে। তাই শীতের দিনে হোক বা গরমের দিনের রোদে হউক পুরুষ -মহিলা, শিশু, কিশোর, যুবক, যুবতি, মধ্য বয়সী কিংবা বৃদ্ধজনেরা বাইরে বেরুবার সময় সান প্রটেকশন লোশন ব্যবহার করে বের হন। এই পরামর্শগুলো ইউরোপ আমেরিকা ও অন্যান্য দেশ মহাদেশের স্বনামধন্য বিশেষজ্ঞরা আমাদের সবার জন্যে দিয়েছেন। আমি শুধু আপনাদের সকলের জন্যে তুলে ধরতে চেষ্টা করলাম। এই হলো স্কীন ক্যান্সার থেকে নিজেকে রক্ষা করার বিশেষ বিশেষ চেষ্টাসমূহ। নিজে চেষ্টা করুন অন্যকেও পরামর্শ দিন।
এ পর্যায়ে জেনে নেবার চেষ্টা করবো গলার ক্যান্সার কিভাবে হয় এবং এর লক্ষণ সমূহঃ
গলার ক্যান্সারঃ গলার ক্যান্সারের কারণ হলো শ্বাসনালি, অন্ননালি ও কন্ঠনালীর টিউমার। তবে শরীরের অন্য কোনো অংশ থেকেও এ অঞ্চলে ক্যান্সার ছড়াতে পারে। অনেক সময় নিয়ে ধীরে ধীরে রোগটি দেখা দেয়। সাধারণত এটি বয়সকালেই দেখা যায়। তবে কম বয়সে একদম হতেই পারে না, তা বলা ঠিক নয়। সব বয়সের মানুষেরই যে কোন ক্যান্সার এখন হয়ে থাকে। তাই সচেতনতা অবলম্বন করা অত্যন্ত জরুরী।
লক্ষণ: আগেও বলা হয়েছে যে, বিভিন্ন রকমের ক্যান্সার এর বিভিন্ন লক্ষণ (symptoms) থাকতে পারে। যেমনঃ গলায় ক্যান্সারের লক্ষণগুলো এমন হয়ে থাকে, অনেক দিন ধরে গলাব্যথা হওয়া, শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে ও খাবার গিলতে অসুবিধা হওয়া, স্বর ভেঙে যাওয়া, শ্বাস-প্রশ্বাসের সময় গলায় ঘড়ঘড় আওয়াজ ইত্যাদি। এ ছাড়া কাশি বা বমির সঙ্গে রক্ত ওঠা, গলায় চাকা দেখা যায়, দ্রুত ওজন কমে যেতে পারে, চোখ চোয়াল এবং গলায় ফোলা থাকা, কানে ব্যাথা ইত্যাদি। গলাব্যথা বা কর্কশ স্বর এক সপ্তাহের বেশি থাকলে, কফ বা লালার সঙ্গে রক্ত এলে, গলায় চাকা দেখা দিলে বা ওজন কমে গেলে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। বিভিন্ন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ ও আমার দেখা অনেক ভুক্তভোগীর অভিজ্ঞতা থেকে পরামর্শ রাখতে পারি এসব রোগের জন্যে সচেতনতার কথা বললে বলতে হবে ব্যাক্তিগত জীবন থেকে কিছু অভ্যাস ত্যাগ করুন যেমনঃ ধুমপান ত্যাগ করুন, সুপারি, জর্দা ও তামাক জাতীয় সবকিছুকে পরিহার করুন, মদ্যপানের অভ্যাসটাকে একদম মুছে ফেলুন জীবন থেকে। অতিরিক্ত ঠান্ডা জাতীয় যেকোন খাবার খাওয়া বা পানীয় পান থেকে দূরে থাকুন। আজ আপনাদের পাঠের সুবিধার্থে এব্যাপারে এখন সমাপ্তি টেনে আগামী পর্বতে এ’নিয়ে আরো বিস্তারিত জানতে চেষ্টা করবো। সেই পর্যন্ত ভালো করে পড়ুন, জানুন এবং অন্যকে জানতে উৎসাহিত করুন। সর্বদা নিজ নিজ ধর্ম মতে সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ করুন এবং নিজেকে সুস্থ রাখার চেষ্টা করুণ।
রওশন চৌধুরী- সহ সম্পাদক চেতনা বিডি ডটকম।