Take a fresh look at your lifestyle.

ক্যান্সার পর্ব বিশ

890

গত পর্ব শেষ করেছিলাম ব্লাড ক্যান্সার থেকে রক্ষা পেতে হলে কি কি সচেতনতা অবলম্বন করতে হবে এবং এর নিরুপনের উপায় নিয়ে। আজ জানার চেষ্টা করবো এই রোগ নিরাময়ের কোন উপার আছে কি?

ব্লাড ক্যান্সার নিরাময়ের কোন উপায় আছে? এই রোগের নিরাময় হয় কিনা তা নির্ভর করে অনেকটা রোগটি নিরুপন করার সময়কাল। প্রতিটি ক্যান্সারের সাধারনতঃ চারটি ধাপ (stage) রয়েছে তা হলোঃ প্রথম ধাপ (1st Stage), ২য় ধাপ (2nd Stage), ৩য় ধাপ(3rd stage) ও চতুর্থ ধাপ (4th stage) : সৌভাগ্যক্রমে যদি কারো এই রোগটি প্রথম ধাপ (1st Stage) ধরা পড়ে থাকে। আর সুদক্ষ চিকিৎসকের সাহায্যে উপযুক্ত চিকিৎসা করানো যায় এবং সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অবস্থানের সুযোগ দেওয়া হয়, তাহলে আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে সম্পূর্ন সুস্থ হয়ে দীর্ঘকাল ও বেঁচে থাকার ঘটনাও হতে পারে। যা প্রত্যক্ষ্য প্রমান আছে (৭০%-৮৫% বা তার একটু কমও হতে পারে। ২য় ধাপে চলে গেলে সম্পূর্ন সুস্থ হওয়ার ৫০% -৬৫% সম্ভাবনা, আর ৩য় এবং ৪র্থ ধাপে চলে গেলে খুব ক্ষীন যা ঐ অবস্থায় চিকিতসাধীন থেকে যে ক’দিন কষ্ট ভোগের মাধ্যমে জীবিত থাকা ব’ই আর কিছুই না। অর্থাৎ চিকিৎসা শক্তির বাইরে চলে যাওয়া। বাকি সব সৃষ্টিকর্তার হাতে। এব্যাপারে আমি আমার প্রত্যক্ষ্য অভিজ্ঞতা থেকে জানা কথাগুলো বললাম। আমার এক আত্মীয় (রক্তের সম্পর্কের নয়) একটি ছেলে শিশু কাল থেকে সে রোগটিতে আক্রান্ত হয়। তার বয়স যখন সম্ভবতঃ ২২ -২৪ বছর তখন তার চিকিৎসা সেবা ব্যর্থ হয় এবং সে মারা যায়। প্রথম দিকে তাকে ব্লাড পুশ করতে হত প্রতি বছরে একবার তারপর ২ বার এবং ক্রমান্ময়ে বেড়ে ৩, ৪, ৫, ৬ এবং পরিশেষে ১৫ দিনে একবার তারপর আর কাজ হয়নি। আমার আরেক সেকেন্ড কাজিনের ছেলে জন্মের কয়েক মাস পরে রোগটা ধরা পড়ে এবং এই অবস্থায় সে প্রায় সাড়ে ৩ বছর বেঁচে ছিল। তাকে ও ক্রমান্ময়ে বোন ম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্ট ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল সেও সকল চেষ্টাকে ব্যর্থ করে পৃথিবীর আলো থেকে হারিয়ে গেলো। আবার আমার আরেক রিলেটিভ আল্লাহর মেহেরবানীতে ব্লাড ক্যান্সারের আক্রমন থেকে আজ প্রায় ৩৫ বছরের মতো সে সম্পুর্ণ সুস্থ্য। আমার ঘনিষ্ট পরিচিত আরেকটি কলেজ পড়ুয়া ছেলে আজ থেকে প্রায় ৩০ বছর আগে এই রোগের লক্ষণ ধরা পড়লে বাংলাদেশের ডাক্তার তাকে বেঁচে থাকার সময়কাল ও বেঁধে দিয়েছিলেন। কিন্তু মহান আল্লাহর পরম করুণায় সে আজো সম্পূর্ন সুস্থ্য হয়ে বেঁচে আছে, সে এখন ইংল্যান্ডে। তার একটি কথা তখন আমাকে খুব ব্যথিত করেছিল, যখন তার বন্ধুদেরকে বলেছিল ডাক্তার বলছে এসব রোগীদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা লাখে হয়ত একজন হতে পারে আবার নাও হতে পারে। আর ডাক্তারের এমন কথার উপর সে, সেই আশ্বাস ব্যক্ত করেছিল এই লাখের মধ্যে একজনতো আমিও হতে পারি। তখন তার পড়ালেখা করার ক্ষেত্রে ও বিঘ্ন ঘটানো হয়েছিল। তাই আমার যে উদ্দ্যশ্যটা এখানে তার এই কথাটিও প্রমান হয় চিকিতসার সাথে সাথে সৃষ্টিকর্তার উপর ভরসা করে মনোবল ধরে রাখা সুস্থ্যতার একটা সম্বল হিসেবে নিতে পারি আমরা। এতক্ষণ বিশেষ বিশেষ গবেশকদের গবেষণা তুলে ধরার ফাঁকে ফাঁকে আমার ও প্রত্যক্ষে দেখা বিষয়গুলো বলে গেলাম । আজকে এপর্যন্ত আগামী পর্বে থাকবে ব্লাড ক্যান্সার নিয়ে আধুনিক গবেষকদের কি ধারণা দিয়েছেন এবং অন্য কোন ক্যান্সার নিয়ে কিছু কথা। সবাই সবসময় যেন ভালো থাকেন। মহান আল্লাহর কাছে এই প্রার্থনা করে আজকে বিদায়।

 

রওশন চৌধুরী- সহ সম্পাদিকা চেতনা বিডি ডটকম     

Leave A Reply

Your email address will not be published.