৪র্থ পর্বে শেষ অংশটি ছিল যুক্তরাজ্যের গভেষকদের এক গভেষণার ফলাফলে জানা গেছে ইতিবাচক দৃষ্টিভংগী সম্পন্ন ক্যান্সার রোগীরা, যারা বাঁচতে চান, তাঁরাই বাঁচেন। তারা একই সংগের হোতাশাপ্রবন রোগীদের চেয়ে বেশিদিন বেঁচে থাকেন । দেখা গেছে নেতিবাচক রোগীদের ক্ষেত্রে সর্বোৎকৃষ্ট চিকিৎসা ও ব্যর্থ হয়।
আমি নিজে মনে করি আমি কতদিন বাঁচব সেটা চিন্তা না করে, যতদিন বাঁচব ততদিন যেন সুস্থ থাকি, সেই চেষ্টা করা এবং সৃষ্টিকর্তার কাছে সুস্থতা কামনা করাই হবে আমাদের প্রধান কাজ। তাই মনকে সর্বদা সতেজ রাখা এবং চিন্তা মুক্ত থাকা সেই সাথে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলে সর্বদা মনে রাখবো মহান সৃষ্টিকর্তাই আমার মঙ্গল অমঙ্গলের মালিক। আমি যথাসাধ্য ভালো থাকার চেষ্টা করব।
মানসিক চাপঃ মানসিক চাপ ক্যানসারের একটি বড় কারণ । আমার নিজের অভিজ্ঞতা এবং অন্য অনেকের কাছ থেকে জানি যে, এরোগে আক্রান্ত প্রত্যেকেই বড় ধরনের একটি মানসিক চাপে ভোগেন। তীব্র মানসিক চাপ তাদের স্বাভাবিক অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটায়। এটা অতি সহজবোধ্য যে, একজন মানুষের মানসিক চাপটা তাঁর শরীরের মাংস পেশীতে চাপের প্রভাব সৃষ্টি করে। অর্থাৎ মানসিক চাপ থাকলে তা শারীরিক চাপের সৃষ্টি করবে। আমার নিজের শারীরের অবস্থা লক্ষ্য করে বুঝতে পারি। একথাটা অবশ্য সবারই জানা যে, কোন বিশেষ কারণ ছাড়া কোন মানুষই অসুস্থ হয়ে জম্মায় না। কিন্তু তাঁর জীবনে বিভিন্ন প্রতিকূলতা থেকেই তাঁর উপর মানসিক চাপ পড়ে। আর এই মানসিক চাপ যে জীবনের জন্যে কি ক্ষতিকারক তা আমরা অনেকেই জানিনা অথবা জেনেও আমলে নেই না। যার ফলশ্রুতিতে নিজেও ভুগি এবং অন্যকে মানসিক আঘাত করে একটি জীবনের ধ্বংস ডেকে আনি। সুতরাং মানসিক চাপ থেকে নিজেকে রক্ষা করুন এবং অপরকেও নিরাপদ রাখুন। বিশেষ করে ক্যানসার থেকে রক্ষা পেয়ে বেঁচে যাওয়া মানুষগুলোকে মানষিক চাপে রাখবেননা। এই কথাটাও মনে রাখবেন এই বেঁচে যাওয়া মানুষটি হয়তবা আপনার জীবনের কোন না কোন উপকারে আসবে বলে মহান আল্লাহ তাঁকে বাঁচিয়ে রেখেছেন।
রওশন চৌধুরী – সহ সম্পাদক চেতনা বিডি ডটকম।